বাস চালকের আকাল ক্রমেই বাড়ছে। এক সময়ে বাস চালানোর লাইসেন্সের জন্য বছরে ৮০০ থেকে বারোশো আবেদন জমা পড়ত রাজ্য পরিবহণ দফতরে। এখন সংখ্যাটা পঞ্চাশের কাছে নেমে গিয়েছে। বাস চালাতে গেলে আলাদা লাইসেন্স লাগে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে মালবাহী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স মেলে। ৬ বছর পর বাস বা পাবলিক সার্ভিস ভেহিকল চালানোর লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়। গত কয়েক বছরে বাস চালকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। রাজ্যজুড়ে বিশেষ ক্যাম্প করে লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজ্য পরিবহণ দফতর।সম্প্রতি রিপোর্ট এসেছে বিভিন্ন আরটিও থেকে। বাস চালকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন সংখ্যা পঞ্চাশও পেরোয়নি। যাঁদের কাছে বাস চালকের লাইসেন্স আছে তাঁদের অনেকে বাস ছেড়ে মালবাহী গাড়ি চালাচ্ছেন।ফলে, আকাল বাড়ছে বাসের।
advertisement
বাস চালানোয় আগ্রহ নেই কেন?
সরকারি বাস চালিয়ে মাস গেলে খুব সামান্য টাকাই পৌঁছোয় চালকদের হাতে। বেসরকারি ক্ষেত্রে তো মাস মাইনের বিষয়ই নেই। যাত্রী-সংখ্যার উপর নির্ভর করে বাসচালকের কমিশন।গত কয়েক বছরে বিপুল ভাবে যাত্রী সংখ্যা কমেছে বাসে। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্রই একই অবস্থা। এর মূল কারণ টোটো এবং অটোর মতো বিকল্প পরিবহণ। আর কলকাতার ক্ষেত্রে মেট্রো।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে থাকলে এখনই সরিয়ে ফেলুন! এই ৫ জিনিসই ‘ডেকে আনে’ সাপকে, ঘরে ঢুকে আসবে বিষধর
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘এককালে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম দফতর ফি বছরে দেড়-দু’হাজার বাসচালককে প্রশিক্ষণ দিত কেন্দ্রীয় সরকার। এখন সেটাও বন্ধ।’’ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী অবশ্য সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন, তিনি বলছেন, এই সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন ক্যাম্প করে সচেতনতা শিবির গড়ছে। ক্যাম্প থেকে লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। তাও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।