পোলট্রি ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মূল্যবৃদ্ধি হঠাৎ করে হয়নি। গত অগস্ট-সেপ্টেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ। গত বছর ডিমের জোগান কম ছিল, তার জেরে বাজারে সরবরাহে টান পড়ে। এ বছর সেই পরিস্থিতির প্রভাবের পাশাপাশি পশুপালকদের ক্রয়মূল্য সংশোধনও বড় কারণ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে পোলট্রির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা ডিমের ন্যায্য দাম পাচ্ছিলেন না। চলতি বছরে সেই ঘাটতি কিছুটা হলেও মেটানো হয়েছে।
advertisement
কানাডার টরন্টোতে একই সপ্তাহে খুন দুই ভারতীয় ছাত্র! কেন? কারা ছিলেন ওই দু’জন? বাড়ছে উদ্বেগ
Representative Image
এর পাশাপাশি শীতের মরসুমে ডিমের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ডিসেম্বরে কেক ও বেকারি সামগ্রীর জন্য ডিমের ব্যবহার অনেকটাই বাড়ে। অন্য দিকে, ঠান্ডার কারণে ডিমের উৎপাদন কিছুটা কমে যাওয়াতেই চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের বাজারে তার স্পষ্ট প্রভাব দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন সেখানে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় কোটি ডিমের প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে সাড়ে তিন থেকে চার কোটি ডিম রাজ্যের বাইরে থেকে আনতে হয়। পরিবহণ ও অতিরিক্ত খরচ যোগ হওয়ায় খুচরো বাজারে এক পিস ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা, যদিও হোলসেল বাজারে দাম রয়েছে সাড়ে সাত টাকার আশপাশে।
ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, জানুয়ারি মাসে ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে। প্রতি ডিমে ১৫ থেকে ২০ পয়সা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারিতে এক পিস ডিমের দাম সাড়ে আট টাকা ছুঁতে পারে। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনাও থাকছে।
পোলট্রি ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমান দামকে অত্যধিক বলা ঠিক নয়। Poultry Federation of India-এর সভাপতি রণপাল ধান্ধা জানিয়েছেন, এই দাম পোলট্রি কর্মীদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। তাঁর বক্তব্য, মুরগির খাবারের দাম প্রতি বছর বাড়লেও দীর্ঘদিন ডিমের দাম বাড়েনি। লাভ না হওয়ায় বহু পোলট্রি ফার্ম বন্ধ হয়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে জোগানে। দাম স্থিতিশীল না হলে ভবিষ্যতে ডিমের সংকট আরও বাড়বে এবং তখন আরও বেশি দামে ডিম কিনতে হতে পারে।
অন্যদিকে, National Egg Coordination Committee-র তথ্য অনুযায়ী, দেশের মধ্যে নামাক্কাল ও হোসপেটে এখনও ডিমের দাম তুলনামূলক কম। সেখানে ১০০টি ডিমের দাম ৬৪০ থেকে ৬৪৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
