সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পরেই ইলেকশন পিটিশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ২০২১ বিধানসভার মানিকতলা আসনের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে কল্যাণের আইনজীবী মামলা প্রত্যাহার করার কথা জানান।
ব্যক্তিগত কারণে তাঁর মক্কেল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
যদিও বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ওই আবেদন এখন মঞ্জুর করেনি।
advertisement
তিনি জানান, আগামী ৯ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: মে মাসের শুরুতেই মোদি-মমতার জোড়া সভা! তৃতীয় দফার আগে উত্তাপ বাড়ছে বর্ধমানে
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন করেন কল্যাণ। মানিকতলার তৎকালীন বিধায়ক সাধন পান্ডের বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন। প্রায় দু’বছর ধরে হাইকোর্টে ওই মামলাটি চলছে। কল্যাণের অনীহার কারণে হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানি বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালত কল্যাণকে তীব্র ভর্ৎসনা করে। মামলায় মনোযোগ দেওয়ার কারণে তাঁকে কেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। কমিশন সূত্রের খবর, মানিকতলা বিধানসভার ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে করা মামলা প্রত্যাহার করা হলেও এখন আর ভোট সম্ভব নয়। ৯ মে এই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। অনেকে মনে করছেন, শীর্ষ আদালত তাঁকে শোকজ নোটিস পাঠানোর পরেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কল্যাণ।
রাজ্যের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, শনিবার এমনটাই ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা, যেখানে তৃতীয় দফায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সপ্তম দফায় উপনির্বাচন হবে বরানগরে। ২০২২ সালে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যু হয়। কোনও কেন্দ্রে বিধায়কের ইস্তফা বা মৃত্যুর কারণে যদি সেখানে শূন্যতা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হবে। কিন্তু সাধন পাণ্ডের কেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা হয়নি।