তাঁর মায়ের দাবি, মেয়ে বিদিশার মৃত্যুর পর মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শুক্রবার সকালে তিন তলার বাড়ির উপরে ঘরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখেন দরজা ভেজানো। পরিবারের সদস্যরা আশেপাশের বাসিন্দাদের ডাকেন। পুলিশে খবর দেন। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ফাঁস লেগেই মৃত্যু না কি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তাঁর পরিবারের দাবি, সাত বছর ধরে মডেলিং করছে। বেশ কিছু ক্রাইম থ্রিলার সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে চাইছিলেন । তার জন্য কি অবসাদ? পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।স্বামী স্ত্রী সঙ্গে তেমন সমস্যা ছিল না বলে দাবি মৃতের পরিবারের।
advertisement
আরও পড়ুন: ভালবাসতে না? অথচ শারীরিক সম্পর্ক রেখেছিলে? অনুভবকে কাঠগড়ায় তুললেন বিদিশার বান্ধবী?
মঞ্জুষা গড়িয়া হরিমতি দেবী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পড়াশোনা ও তারপর এন্ড্রুজে পাস আউট। সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা ছিল। তাঁর বাবা সরকারি চাকরি করতেন। এক ভাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরিবার সূত্রে খবর, মঞ্জুষার স্বামী রামনাথ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ব্যাবসা করেন ও ফোটোগ্রাফি করেন। মডেল ফটোগ্রাফার রমানাথের সঙ্গে পেশাগত কারণেই মঞ্জুষার আলাপ হয়। এর পর ছ'মাস আগে বিয়ে। স্বামীর বয়স বেশি মঞ্জুষার তুলনায়, তাই মেয়ের পরিবারে প্রথম দিকে আপত্তি করলেও পরে মেনে নেয়।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিল মঞ্জুষা? বিদিশার মৃত্যুতেই ইন্ধন? মায়ের বয়ানে হাড়হিম তথ্য!
পাটুলির বাড়িতে মঞ্জুষা পরিবার ২০ বছর ধরে থাকে। মৃতের মাসির দাবি, "মঞ্জুষার স্বামী ভাল। মঞ্জুষা কর্মজীবনে তাড়াতাড়ি সাফল্য় চাইছিলেন। ৬-৭ বছর ধরে মডেলিং করতেন।বিদিশার মৃত্যু পর মরে যাওয়ার কথা বলতো মায়ের কাছে। যা করেছে ও নিজে করেছে। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।" যদিও স্বামীকে দীর্ঘক্ষণ পাটুলি থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, "নিজের কর্মজীবন নিয়ে চিন্তা করতেন মঞ্জুষা । মা বোঝাতেন সংসারে মন দে, ক্যারিয়ার ঠিক হবে। ধৈর্য ধর। "
প্রতিবেশিদের দাবি,"বৃহস্পতিবারও ছাদের থেকে কথা বলেন মঞ্জুষা। হঠাৎ এমন করবে ভাবতে পারেননি তাঁরাও। মানসিক অবসাদ দেখে মনে হচ্ছিল না।" তা হলে কেন এই ঘটনা? মানসিক অবসাদ নাকি সম্পর্ক নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু? গড়ফায় পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় কয়েকদিন আগে। বুধবার উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। দুটি মৃত্যু নেপথ্যে সম্পর্কর টানাপড়েন! মঞ্জুষার ক্ষেত্রে কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে।
ARPITA HAZRA
