বামেদের স্টলে কুণাল ঘোষের যাওয়া নিয়ে যে চর্চা শুরু হয়েছে সেই প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘আমার পাড়ায় রামমোহন সম্মিলনীর পুজোপ্রাঙ্গণে রাজ্যপালের সচিব আই এ এস নন্দিনী চক্রবর্তী এসেছিলেন। ঠাকুর দেখা, গল্প, একসঙ্গে ভোগ খাওয়া। বহু বছর পর নন্দিনী পুজোয় কলকাতায়। ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন অসুস্থ, কলকাতা আসতে পারেননি। নন্দিনীর এই পুজোদর্শন একেবারেই দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে। ব্যক্তিগত সম্পর্কে। এদিন ছিলেন প্রবাসী বাঙালি শিল্পপতি ও ইউনিভার্সাল সাকসেস সংস্থার কর্ণধার প্রসূন মুখোপাধ্যায়ও। বহুদিন পর তিনিও কলকাতায়।
advertisement
আরও পড়ুন- অসুরের মুখ যেন মহাত্মা গান্ধি ! তুমুল বিতর্কের পর বদলানো হল মূর্তির মুখ
ভোগ খাওয়ার পর তাঁর ইচ্ছে, ভাঁড়ে চা খাওয়ার। সেসব হল। এরপর প্রসূনদার কৌতূহল তৃণমূল আর সিপিআইএমের শারদসাহিত্য নিয়ে। তৃণমূলের সমর্থকরা 'জাগো বাংলা' উৎসব সংখ্যা দিল। খবর দিলাম সিপিআইএমের বন্ধুদের। তারা তখন স্টলে বই নামাচ্ছে। প্রসূনদার উৎসাহ, সেখানে গিয়ে বই কিনলেন, তার মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর লেখা সবকটি বই। উৎপল দত্ত বিষয়ক একটি বই নজরে পড়ল, পরে আমিও কিনে নেব। প্রসূনদা, নন্দিনী নগেন্দ্র মঠ ও মিশনও দেখলেন।’’
আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। তবে গোটাটাই রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। পুজোয় অবশ্য রামমোহন সম্মিলনীতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই এসেছেন। ফলে মধ্যবিত্ত পাড়ার পুজো, ঘরোয়া পরিবেশেই সম্পন্ন হয়। তার সাথে রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলতে চান না তাঁরা। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, এই পাড়ার পুজোয় দীর্ঘদিন ধরে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-পুজোর ক'দিন বাহারি স্বাদের খাবার পেয়ে যান বাড়ি বসেই
এমনকি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পুজোয় এসেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এসেছেন বাম নেতা বিমান বসু। এমনকি এসেছিলেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তপন শিকদারও। এ পাড়ায় পাশাপাশি জাগো বাংলা ও বামেদের স্টলও রয়েছে।
