আরও পড়ুন - রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এখনও পর্যন্ত মৃত ২৭, বহুতলে আটকে আরও বহু
আড়াই বছর আগে টানেল বোরিং মেশিন চণ্ডী মাটির নীচে থাকা জলস্তরে ধাক্কা মারে। মাটির ওপরে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ে। বিকল হয়ে পড়ে সে নিজেও। এরপরই চণ্ডী এবং উর্বি দুই মেশিনকে তুলে আনতে দুর্গাপিতুরি লেন ও শ্যাকরাপাড়া লেনের মাঝের অংশে তৈরি করা হয় shaft। মেশিন দুটির সফল উত্তোলনের পরে সেই চৌবাচ্চার মতো shaft এর মেঝেতে কংক্রিটের বক্স তৈরির কাজ শুরু হয়। এই গোটা বিষয়টাই প্রাথমিক পরিকল্পনায় ছিল না। ২০১৯ এর বিপর্যয় এই পরিকল্পনার কারণ।
advertisement
কংক্রিট বক্স তৈরির সময়েও শিয়ালদহ থেকে কাজ শুরু হয়। সেদিকে কোনও অসুবিধে হয় নি। ধর্মতলার দিকে দীর্ঘদিন টানেল বোরিং মেশিন চণ্ডী আটকে থাকায় সেই অংশের মাটির বাঁধুনি খুব বেশি ছিল না। সেই জায়গায় কংক্রিটের জন্য খোঁড়া হতেই গত কয়েকদিন হওয়া বৃষ্টির জেরে উঠে আসা জলস্তরে আঘাত লাগে। ফলে বেরোতে থাকে বালি ও মাটি মেশানো জল। মাটির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়ে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে সংলগ্ন বারিগুলোয়। ছড়ায় আতঙ্ক।
আরও পড়ুন - শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির! উদ্ধারকাজে নামছে এনডিআরএফ, জানালেন শাহ
সবমিলিয়ে চণ্ডীর দীর্ঘদিন আটকে থাকাকেই এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন KMRCL এর আধিকারিকেরা। আপাতত স্বস্তিতে কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে করপোরেশন লিমিটেড৷ শুক্রবার সকাল থেকেই বন্ধ হয়েছে পুরোপুরি জল বেরনো৷ কোনওভাবেই আর জল উঠছে না। যে এগারোটি জায়গা থেকে ক্রমাগত জল বেরিয়ে আসছিল তা গ্রাউটিং করে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জল বেরনো বন্ধ মানেই গ্রাউটিং বন্ধ করে দেওয়া হবে এমনটা নয়। এক্সটেনসিভ গ্রাউটিংয়ের কাজ চলবেই। একই সাথে আরও একটি স্বস্তির খবর, সুড়ঙ্গ নীচের অংশে বন্ধ হয়েছে মাটির নড়নচড়ন। বিভিন্ন জায়গায় বসানো মিটারে তা ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে। ফলে সেটেলমেন্ট হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই কোনও বাড়িতে নতুন করে ফাটল ধরবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের মতো এ বারও সমস্যার কারণ জল চুঁইয়ে ঢোকা। টানেল বোরিং মেশিন বার করার প্রকোষ্ঠের প্রায় ৩৩.৩ মিটার নীচ থেকে ক্রমাগত জল বেরিয়ে আসছিল। মাটির নীচের প্রায় ৩৮ মিটার অংশের মধ্যে থেকে প্রায় ৯ মিটার অংশ যা এসপ্ল্যানেডের দিকের সেখানেই শুরু হয় এই সমস্যা। টানেল বোরিং মেশিন চান্ডি যে দিকে খারাপ হয়েছিল সে দিকের সুড়ঙ্গ নিচের অংশেই গত কয়েকদিনে বৃষ্টিপাতের কারণে জল ঢুকতে শুরু করে।
Abir Ghoshal