কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের অধিকর্তা দেবেন্দ্র কুমার রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে ১৪৪টি রাস্তা নির্মাণের অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন। যার প্রতি কিলোমিটার নির্মাণ খরচ হবে ৬৮ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। আর সেখানেই বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা নির্দেশিকা মেনে এই রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। নির্মাণের পর মানুষকে অবগত করতে, ওই রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা লোগো দেওয়া বোর্ড লাগাতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফের উত্তপ্ত কেশপুর, বোমার আঘাতে উড়ল হাত, গ্রেফতার ৬
পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদ বা এমপি-কে প্রকল্পের কাজে যুক্ত করতে হবে। তাঁদের দিয়েই উদ্বোধন করাতে হবে রাস্তা। এ ছাড়াও এই রাস্তাগুলি নির্মাণের পর রাস্তার দু'ধারে বাধ্যতামূলকভাবে ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে ফল বা অন্য ধরনের গাছ লাগাতে হবে। এ ছাড়াও গুণগত মান রক্ষায় নির্মাণ সংক্রান্ত গাইড লাইন মানতে হবে।
অনলাইন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম যে ১৪৪টি রাস্তার তালিকা দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র সেই রাস্তাগুলিই নির্মাণ করা যাবে। অন্য কোনও রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। রাজ্যকে ওই রাস্তা নির্মাণে রোড সেফটি অডিট রিপোর্ট আপলোড করতে হবে। সময় বেঁধে কাজ করতে হবে। কেন্দ্রের তরফে একাধিক শর্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পোড়া দুধের চা খেয়েছেন কখনও? নামমাত্র টাকায় আসানসোল মেতেছে নয়া স্বাদে
যদিও গোড়া থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নাম করার লোগো ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে রাজ্যের। এ দিনের এই চিঠির পরে অবশ্য শাসক দলের তরফে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় উঠে এসেছে। অন্যদিকে, স্থানীয় সংসদদের এই কাজে যুক্ত করা কথা বলায় রাজ্যে বিজেপি সাংসদদেরও যুক্ত করতে হবে বলেই মত প্রশাসনিক মহলের একাংশের।
এ দিকে বিজেপির অভিযোগ, প্রকল্পের কাজের সময়ে এতদিন কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। তবে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার পর রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের এই চিঠির পর রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের তরফে কি নির্দেশিকা দেওয়া হয়, তা ঘিরেই কৌতুহল তুঙ্গে।
কেন্দ্রের তরফে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়েছে রাস্তা নির্মাণে কেন্দ্র দেবে ৩৪৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। রাজ্যকে দিতে হবে ২৪১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্র দেবে ৬০% এবং রাজ্য দেবে ৪০ শতাংশ টাকা। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকা কেন্দ্রের তরফে আসার পর এ বার ১০০ দিনের গ্রামীন কর্মসংস্থান প্রকল্পেও কেন্দ্রের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা ঘিরেই চর্চা তুঙ্গে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়