২০২৪ ' এ লোকসভা আর বিধানসভা ভোট হতে বাকি এখনো ৪ বছর। তবু, নিয়ম মাফিক জাতীয় নির্বাচন কমিশনের খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এবার কিছুটা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ একটাই। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এবারের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ধরেই আগামী বছর হবে পঞ্চায়েত ভোট। আগামী ৯ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। তালিকা সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করে আগামী ৫ জানুয়ারী প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
advertisement
আরও পড়ুন: শান্তিকুঞ্জের দুয়ারে গানের আসর, শিশিরকে পিতৃতুল্য বলে শুভেন্দু-বন্দনা বিধায়কের!
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই তালিকার ভিত্তিতেই রাজ্যে আগামী বছর সম্ভাব্য পঞ্চায়েত ভোটের ভোটার তালিকা তৈরি করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তালিকায় কোনও নাম বাদ যাওয়া বা যুক্ত হয়ে গেলে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শোধরানো যাবে না। তাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই তালিকার দিকে নজর শাসক, বিরোধী সবার৷ নজর একটাই। তালিকা থেকে নাম বাদ পড়া আর যোগ হওয়া নিয়ে।
কমিশনের সর্বদল বৈঠকে আজ বিরোধীরা এককাট্টা শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: এক কামড়েই সব শেষ! মৃত্যু চার বছরের শিশুকন্যার, ঘরের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল বিষাক্ত ঘাতক
কমিশনের কাছে ভুয়ো ভোটারের নাম ও নথি দেওয়া সত্বেও মৃত ও ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে। কমিশনকে রীতিমত কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই ভুয়ো ভোটারের নাম তালিকায় রেখে দেওয়া হয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বিরোধীদের এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও, আশ্বস্ত হতে পারছে না বিরোধীরা। যদিও, বিরোধীদের ভুয়ো ভোটারের অভিযোগকে পাত্তা না দিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, আসলে বুথে যদি বিরোধীদের লোক না থাকে,তার দায় তো তৃণমূল নিতে পারে না৷ ভুয়ো ভোটার নিয়ে বাম,কং ও বিজেপির একজোট হওয়ার মধ্যে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল।
বৈঠকের শেষে তৃণমূলের প্রতিনিধি মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, ''অন্ধকারে তালিকা থেকে যোগ্য নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এ বিষয়ে আমরা কমিশনকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছি।'' যদিও, তৃণমূলের মন্তব্যের জবাবে কংগ্রেসের অসিত মিত্র বলেন, "তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম তুলতে পারে তৃণমূলই। ভুয়ো নাম তোলা বা বাদ দেওয়া কংগ্রেসের কম্ম নয়। " রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে, বুথ স্তরে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সামলানোর মত পরিস্থিতি বিরোধীদের যে নেই, সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তুলনায় বাম ও বিজেপির কিছুটা লোকবল থাকলেও, শাসকদলের বাড়তি সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজে অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল।