রাজ্য সরকার আরও ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চান। গাড়িগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখে সেই বাস পথে নামানো যায় কিনা, সেই বিষয়ে রাজ্য সরকার বাস মালিকদের পাশে আছে। রাজ্যের সঙ্গে জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্সের বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয় পরিবহণ মন্ত্রীর। রাজ্য সরকার যে নিয়মাবলীর কথা বলেছে তাতে পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ। একই রুটে একগুচ্ছ বাসের পারমিট দিলে রেষারেষি অবশ্যম্ভাবী। সেই বিষয় খতিয়ে দেখার পরামর্শ।
advertisement
রাজ্য অবশ্য সার্ভেতে রাজি। ১ সপ্তাহের মধ্যে সার্ভে শুরু হবে। এদিকে ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি বাতিল নিয়ে আগামী সপ্তাহে আদালতে যাচ্ছে বাস মালিকরা। রাজ্যকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দূষণের কারণে বহু বাস বাতিল করে দিতে হয়েছে পরিবহণ দফতরকে। সরকারি ও বেসরকারি বহু বাস বাতিল হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি বাসের সংখ্যাই বেশি। কারণ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল করে দিতে হবে, সেগুলি ফিট নয় এবং পরিবেশ দূষণ করে। এবার ফিট থাকা বাণিজ্যিক বাস চলাচলের মেয়াদ ১৫ বছরের সময়সীমা থেকে বাড়ানো হোক বলে আর্জি নিয়ে আদালতের দুয়ারে কড়া নাড়তে চলেছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, যে বাসগুলি ফিট নয়, সেগুলি বাতিল করতে আপত্তি নেই। কিন্তু ১৫ বছর পরও যে সব বাস ফিট রয়েছে সেগুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক। বাস মালিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব আসে রাজ্যের পরিবহণ দফতরে। তাঁদের যুক্তি, করোনাভাইরাসের জন্য দু’বছর বাসের চাকা রাস্তায় গড়ায়নি। কিছু বাস এখনও ১৫ বছর পর ফিট রয়েছে। সেগুলি তুলে নেওয়া হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা। এবার এই প্রস্তাব বিবেচনা করে আদালতের দুয়ারে কড়া নাড়ার কথা ভেবেছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানান, বাস মালিক সংগঠন অনুরোধ করেন, অনেক বাস ১৫ বছর চললেও স্বাস্থ্য ভাল রয়েছে। তাই ওই বাসগুলিকে যদি চালানো যায়, সেই আবেদনই করা হয়েছিল। সবদিক বিবেচনা করে পরিবহণ দফতর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।