আরও পড়ুন: বাংলায় করোনা-কম্পন জারি! একদিনে প্রায় ৫০% বাড়ল সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা!
রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রিত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, অধ্যাপক,অধ্যাপিকা শিক্ষা কর্মীদের (West Bengal Teachers) জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এবার থেকে কোয়ারেন্টাইন লিভের আওতায় পড়বেন সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, অধ্যাপক অধ্যাপিকা,শিক্ষা কর্মীরা।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে লিভ রুলের আওতায় SARS,MARS,COVID-19,AVIAN INFLUENZA(H5N1),CRIMEAN CONGO HAEMORRHAGIC FEVER(CCHF) এই পাঁচটি সংক্রামক রোগকে আনা হল। এতদিন সরকারি কর্মচারীদের মত কোয়ারেন্টাইন লিভের সুবিধা পেতেন না স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা (West Bengal Teachers) বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণে এ বার গুরুগ্রামে জারি কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ
এদিনের নির্দেশিকা জারি হবার পর এবার থেকে সেই সুবিধা পাবেন তাঁরাও। তবে কত দিনের কোয়ারেন্টাইন লিভ পাবেন তা নির্ভর করবে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা ওপর। মূলত কোয়ারেন্টাইন লিভের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রযোজনীয় নির্দেশিকা রয়েছে।সেই নির্দেশিকা মেনেই কোয়ারেন্টাইন লিভ দেওয়া হবে বলেই নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে। এর আওতায় প্রায় ৫ লক্ষ শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, অধ্যাপিকা আসবেন বলেই দাবি আধিকারিকদের।
তবে কোয়ারেন্টাইন লিভ তখনই অনুমোদন করা হবে যখন সেই সংস্থার প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল বা উপাচার্য অনুমোদন দেবেন। নির্দেশে এমনটাই জানানো হয়েছে। মূলত রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলেই দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত এর ফলে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পঠন পাঠন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক কাজ কর্মের জন্য ৫০ শতাংশ উপস্থিতি রাখতে হবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশিকায় তেমনটাও জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ কর্মের জন্য স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা অধ্যাপকদের আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে এই কোয়ারেন্টাইন লিভের সুবিধা না থাকায় অনেক সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যান্য ছুটি থেকে ছুটি কাটা যেত। এই নির্দেশিকার ফলে অনেকটাই সুবিধা হল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়