তার আরও বক্তব্য, ল্যাপটপ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। এরপরই এই ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী। তারপরই বিচারক রানা দাম সরাসরি সিবিআইয়ের আইনজীবীকে জানতে চান, কীভাবে ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হল? আইটি অ্যাক্ট মেনে কি এই ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত হয়েছে? বাজেয়াপ্ত করার পর সংরক্ষণ কি পদ্ধতিতে হয়েছে?
advertisement
কার্যত এই সকল প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে দিতে পারেননি সিবিআই আইনজীবী বলে আদালত সূত্রে খবর। তাতেই বিচারকের আশঙ্কা সিবিআইয়ের কাছেও তো ঠিক ভাবে ডিজিটাল এভিডেন্স সংরক্ষণ না হওয়ার ফলে তথ্যপ্রমাণ বিকৃত হতে পারে। অন্যদিকে এদিন আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী।
তার আরও বক্তব্য, এসএসসি নিয়োগের জন্য কমিটি ছিল। মন্ত্রী হিসেবে পার্থর কি যোগ? মন্ত্রী তো নিয়োগ করেন না। তাকে একজনের বয়ানের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল। কিন্তু যার বয়ান তার নাম এফআইআর এ থাকলেও গ্রেফতার করা হয়নি। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর দাবি, cbi এর কনফিডেন্স এর অভাব রয়েছে। এত দিনে ওনারা মামলা শেষ করতে পারলেন না। এটা ট্রায়াল নয়। আমাকে হেফাজতে রেখে তদন্ত চলছে। আমাকে আটকে রাখা হয়েছে। ওনাদের তদন্ত কবে শেষ হবে?
আমি এসএসসি অ্যাঢক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম, ওনারা বলছেন আমি নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো লেটার দিয়েছি। কোথায় দিয়েছি? আমি কোথায় জালিয়াতি করেছি? বাকি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় আদালতে। সিবিআইয়ের তরফে সকলের জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে এদিন।