এদিনের বৈঠকে উল্লেখযোগ্য ভাবে উঠে আসে ‘গ্যাংস্টার’ প্রসঙ্গ৷ এডিজি আইনশৃঙ্খলা বিভিন্ন জেলার এসপি, সিপিদের বলেন, ‘‘গ্যাংস্টাররা ধরা যেমন পড়ছে, তেমনই তাদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ও নজর রাখতে হবে। আদালতে পেশ করার সময় যে নথি লিখে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনে সেটা সুপিরিয়র অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জমা দেবেন। আদালতে পেশ করার সময় যাতে কোন ভুল না হয়। আমরা চাই এই সব গ্যাংস্টারদের শাস্তি। সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখা উচিত পুলিশের উপর। ট্রায়ালের সময় কোনও ভুল যেন না হয় এগুলো নজর রাখবেন। বিভিন্ন বর্ডার এরিয়ায় গ্যাংস্টারদের গতিবিধির উপর নজর রাখুন।’’
advertisement
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে৷ এদিনের বৈঠকে তা নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেন এডিজি আইন শৃঙ্খলা৷ বলেন, ‘‘গণপিটুনির অভিযোগ থামানো যাচ্ছে না। আপনাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী পুলিশের সক্রিয় নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকশন নিন। এখনও কিছু খামতি আছে।’’
এডিজি সিআইডি-র বার্তা, ‘‘সিআইডি গতিবিধির উপরে নজর রাখছে। বিভিন্ন গ্যাংস্টারদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু আপনাদের গোয়েন্দা ইনপুট প্রয়োজন। আপনারা এগুলো নজর রাখুন। সিআইডি বিভিন্ন জেলায় জেলায় যাচ্ছে। আপনারা সহযোগিতা করবেন সিআইডি-কে।’’
রথযাত্রা নিয়েও এদিন সব জেলার এসপি, সিপিদের সতর্ক করেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা। যে রুটগুলো দিয়ে রথযাত্রা যাবে সে রুটগুলির উপর নজর রাখার বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁদের। সিভিল ড্রেসে পুলিশ রাখার কথাও বলা হয়। শীর্ষকর্তারা বলেন, ‘‘রথযাত্রা নিয়ে যা যা গোয়েন্দা ইনপুট আছে সব শেয়ার করুন। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। কোনও বিশৃঙ্খলার আগাম খবর থাকলে সুপিরিয়র অফিসারদের সঙ্গে শেয়ার করুন।’’ বৈঠকে কিছু এলাকার নাম এডিজি আইবি জাবেদ শামিম উল্লেখ করেন। সেই এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দুই বিধায়কের শপথগ্রহণকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে তোপ! এবার আরও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছেন রাজ্যপাল
এডিজি ট্র্যাফিক বলেন, ‘‘একাধিক জায়গায় ট্র্যাফিক হচ্ছে। ট্র্যাফিক পুলিশদের আরও সতর্ক হতে হবে। বর্ষাকাল আসছে। ট্র্যাফিক পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে ভোগান্তির শিকার না হন, সেটা দেখতে হবে।’’ এদিন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে ট্র্যাফিক নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়।
এছাড়া, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার, মহিলাদের করা অভিযোগে জিরো টলারেন্স নীতি প্রসঙ্গেও আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।