তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালের আগে থেকে যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁদের নিয়ে চিন্তা নেই। ২০০৩ এরপর থেকে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম যুক্ত রয়েছে কেবলমাত্র তাঁদের সত্যতা যাচাই হবে। ১১টি প্রমাণ পত্রের মধ্যে যে কোনও একটির বৈধতা মিলতে হবে। নির্বাচন কমিশন সেই ঘোষণা করেছে।’ অন্যদিকে, ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রয়েছে এই সকল এলাকায় ভুয়ো কিংবা ভুতুড়ে ভোটারের সন্ধান দিচ্ছে খোদ বিরোধী দল বিজেপি।
advertisement
সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারী সকলেরই অভিযোগ ভুতূড়ে ভোটারের মাধ্যমে বছরের পর বছর নির্বাচনে জেতে শাসকদল। অভিযোগ উঠেছে উলুবেরিয়া উত্তর বিধানসভা যেখানকার বিধায়ক নির্মল মাঝি সেখানে ভোটার তালিকায় রয়েছে ৩৯ জন মৃত ভোটার। এ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার অভিযোগের সুর চড়িয়ে বলেন, ‘রাজ্যটা ভরে গিয়েছে ভুতূড়ে ভোটারে। রাজ্যের শাসক দল লোকসভা বিধানসভা সকল নির্বাচনে ভোটারদের ভোটেই বারংবার জেতে।’
আরও পড়ুন: ‘NRC হবে, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে!’, ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়ার আতঙ্কে চরম সিদ্ধান্ত কলকাতার বাসিন্দার!
সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘বাঙালি রীতি অনুযায়ী মহালয়ার দিন তর্পণের মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু এই সরকারের দৌলতে মহালয়ার পূণ্য তিথিতে বরং প্রতিবছর নির্বাচনে পূর্বপুরুষরা নিচে নেমে আসেন শুধুমাত্র তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য।’ যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই সকল অভিযোগে নাক গলাতে নারাজ। এরাজ্যে কোনও ভাবেই SIR-এর মাধ্যমে কারও ভোটার কার্ড বাতিল হবে না বলে হুঁশিয়ারি শাসকদলের। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই SIR ইস্যু যে রাজ্য রাজনীতিতে বড় আকার ধারণ করতে চলেছে বা মূল অ্যাজেন্ডা হতে চলেছে সে বিষয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।