এই পরিস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকেরা৷ পাশাপাশি, এদিনই রাজভবনে যায় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যেরা৷
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন বিএসএফ-এর স্পেশাল ডিজি৷ সূত্রের খবর, ভোটপর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কী ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, এদিন তা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট জমা দেন তিনি৷ ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতেই বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর৷
advertisement
এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিএসএফ।
পঞ্চায়েত নির্বাচন অশান্তির অভিযোগ তুলে বাংলায় তথ্য অনুসন্ধানকারী দল আগেই পাঠানোর কথা জানিয়েছিল বিজেপি। বুধবার বাংলায় পৌঁছয় সেই দল। বিজেপির সেই কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, বিজেপি সাংসদ তথা মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সত্যপাল সিংহ, বিজেপি সাংসদ রাজদীপ রায়, বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ রেখা বর্মা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পাঠানো চার সদস্যের সেই দল বৃহস্পতিবার সকালে পৌঁছে যায় রাজভবনে।
আরও পড়ুন: বিধায়ককে কষিয়ে চড়! রাগে-ক্ষোভে বিস্ফোরক মহিলা, সোশ্যাল মিডিয়ায় হুহু করে ভাইরাল ভিডিও
এই বৈঠক নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল৷ এদিন বৈঠক শুরুর আগেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ট্যুইট করেন, ‘রাজভবনে একটি চক্রান্তমূলক বৈঠক হবে বলে খবর পাচ্ছি৷ রাজ্যপাল, বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম, রাজ্য নেতা দু’একজন৷ সেখানে ব্লকের নেতা গদ্দার আসছে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারদের ডাকা হয়েছে শুনলাম৷ বিজেপি, কেন্দ্রীয় সরকার, বিজেপি, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্যপাল মিলেমিশে একাকার৷’