কলকাতা সিটি কলেজে বটানি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন৷ কলেজে ঢুকেই প্রথম বাম ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া৷ তবে নির্বাচনী রাজনীতিতে হাতেখড়ি এইবারই ৷ অবশ্য, সুপ্রীতির ক্ষেত্রে রাজনীতিতে আসার জমিটা কিন্তু অনেক আগে থেকেই তৈরি ছিল ৷ কারণ, সুপ্রীতির দাদু, বাবা, মামা প্রত্যেকেই বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত৷ তাঁদের কাছে থেকেই বাম মতাদর্শে বড় হওয়া৷ তবে সুপ্রীতিই তাঁর পরিবারের প্রথম সদস্য, যিনি নির্বাচনী ময়দানে লড়াইয়ে নামছেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের দিনেও অশান্তির আশঙ্কা? কমিশনের কড়া নজরে ভাঙড়-ক্যানিং, বাহিনী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
যাঁদের বিরুদ্ধে সুপ্রীতির লড়াই, তাঁরা অবশ্য প্রত্যেকেই রাজনীতিতে তাঁর চেয়ে অনেক বেশি পরিপক্ক, অনেক বেশি অভিজ্ঞ৷ কিন্তু, সুপ্রীতির কথায়, তাঁর লড়াই কোনও ব্যক্তি বিশেষের সঙ্গে নয়, লড়াইটা সরাসরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন: ঠিক কত পেলে পাশ করা যাবে টেট? নম্বর নিয়ে বিরোধ দুই বিচারপতির মধ্যেই, নজিরবিহীন ঘটনা
রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে যেখানে প্রাক পঞ্চায়েত হিংসার খবরাখবর আসছে, সেখানে সুপ্রীতির পরিবারও কিছুটা হলেও শঙ্কিত৷ বাড়ির মেয়ে খুব একটা জমাটি প্রচার করুক, তেমনটা তাঁরা চান না৷ তবে কে শোনে কার কথা!জেদি একরোখা রাজনীতিতে ক্ষুদে কমরেডকে ঠেকায় কে?
কলেজ থেকে ফিরেই তাই লাল ঝান্ডা কাঁধে সাইকেলে চড়ে সুপ্রীতি চষে বেড়াচ্ছেন অলিগলি৷ সঙ্গে কয়েকজন কমরেড৷ বাড়ি বাড়ি কড়া নাড়ছেন, খোঁজ নিচ্ছেন তাঁদের সমস্যার, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সমাধানেরও৷ এলাকার কাকু কাকিমা, জ্যেঠু-জ্যেঠিমারাও মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করছেন তাঁদের আদরের পায়েলকে৷
হিংসা মুক্ত ভোট, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ৷ সর্বস্তরে শিক্ষা৷ এইটুকুই তো আকাঙ্খা, এই টুকুই তো স্বপ্ন! এমন সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখে এখনও সুপ্রীতির মতো তরুণ কিছু চোখ৷ সেটাই বোধহয় এখন বামেদের প্রাণবায়ু৷