সেই অনুযায়ী ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে সহকর্মী দমন সিংকে নিয়ে প্রবীণ প্রথমে যায় গড়িয়ায়। সেখান থেকে ম্যানেজার রাকেশ ফোন করে বলে বারাইপুর যেতে। আবার বারাইপুর থেকে গোচরণ।সেখান থেকে জয়নগরের জামতলায় যেতে বলে। প্রবীনের কথা অনুযায়ী,যেহেতু তার সঙ্গী দমন সিং সঙ্গে ছিল।তাই ভয় ছিল না ওর।ওরা ফোনের নির্দেশ মত পৌঁছায় জামতলায়।সেখানে মোটরসাইকেল নিয়ে এক ব্যক্তি অপেক্ষা করছিল।সেই বাইকে করে ওদের গ্রামের ভেতরে নিয়ে চলে যায়।তারপর ছুরি, বন্দুক দেখিয়ে টাকার চাপ দিতে থাকে। ওরা জানতে পরে যে ওরা অপহৃত হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঙালির বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য! মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে গেলেন পরেশ রাওয়াল
অবশেষে প্রভীনের বাবাকে ওই অপহরণকারীরা ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায়।সেই টাকা সমঝোতা করে সাড়ে সাত লক্ষ টাকায় রফা হয়।পরের দিন সন্ধ্যাবেলা প্রবীণের বাবা নির্মল কুমার চেজার তাদের নির্দেশ মত,টাকা দিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে লালবাজারের গোয়েন্দারা ওলঙ্গা বৈদ্য,মিজানুর লস্কর,দুধকুমার হালদার,সনাতন অধিকারীকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার করে।পরে জানা যায় ম্যানেজার রাকেশ আসলে জুলফিকার লস্কর।
আরও পড়ুন: এক্সাইড মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, টায়ারের দোকানের আগুনে আটকে ৩
কয়েক বছর বিচার চলার পর, ২৫ জানুয়ারি দুধকুমার হালদার, ওলঙ্গা বৈদ্য,জুলফিকার লস্করকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।কিন্তু প্রবীনের দাবি ওই সময় ৬ থেকে ৭ জন ছিল।তাদের সবাইকে পুলিশ ধরেনি। অতএব তাদের সাজাও হয়নি। প্রবীণ পরে জানতে পেরেছিল ,ভাস্কর নামে যে কারখানার মালিক সেজে ফোন করেছিল।সেই লোকটি জেল থেকে প্রবীণকে ফোন করে টোপ দিয়েছিল। তিনজনের যাবজ্জীবন হওয়ার পরও প্রবীণের আশঙ্কা থাকছে, বাকি অপরাধীরা অনেকে ধরা পড়েনি এবং তাদের কোন সাজা হয়নি।