TRENDING:

West Bengal News: অপহরণকারীরা সবাই ধরা পড়েনি, মাত্র তিনজনের জেল হয়েছে, ভবিষ্যতে কিছু হবে না তো!

Last Updated:

West Bengal News: ফোনে ভাস্কর জানান, গড়িয়ায় ম্যানেজার রাকেশ অপেক্ষা করবে। দেখা করলে, সেই রাকেশ বরাত দিয়ে দেবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় অফিসে ঢোকে প্রবীণ  চেজার। চোখে মুখে বেশ খানিকটা স্বস্তির ছাপ। প্রবীণ নিজে একটি অ্যানিমেশন গ্রাফিক্স ডিজাইন ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কোম্পানি চালায়।  ২০১৪ সালে প্রবীণের মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনে ভাস্কর নামের এক ব্যক্তি বলেন,দক্ষিণ কলকাতায় তার একটি কোম্পানি রয়েছে। তিনি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করাতে চান। ফোনে ভাস্কর জানান, গড়িয়ায় ম্যানেজার রাকেশ অপেক্ষা করবে। দেখা করলে, সেই রাকেশ বরাত দিয়ে দেবে।
প্রতীকী চিত্র
প্রতীকী চিত্র
advertisement

সেই অনুযায়ী ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে সহকর্মী দমন সিংকে নিয়ে প্রবীণ প্রথমে যায় গড়িয়ায়। সেখান থেকে ম্যানেজার রাকেশ ফোন করে বলে বারাইপুর যেতে। আবার বারাইপুর থেকে গোচরণ।সেখান থেকে জয়নগরের জামতলায় যেতে বলে।  প্রবীনের কথা অনুযায়ী,যেহেতু তার সঙ্গী দমন সিং সঙ্গে ছিল।তাই ভয় ছিল না ওর।ওরা ফোনের নির্দেশ মত পৌঁছায় জামতলায়।সেখানে মোটরসাইকেল নিয়ে এক ব্যক্তি অপেক্ষা করছিল।সেই বাইকে করে ওদের গ্রামের ভেতরে নিয়ে চলে যায়।তারপর ছুরি, বন্দুক দেখিয়ে টাকার চাপ দিতে থাকে। ওরা জানতে পরে যে ওরা অপহৃত হয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন: বাঙালির বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য! মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে গেলেন পরেশ রাওয়াল

অবশেষে প্রভীনের বাবাকে ওই অপহরণকারীরা ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায়।সেই টাকা সমঝোতা করে সাড়ে সাত লক্ষ টাকায় রফা হয়।পরের দিন সন্ধ্যাবেলা প্রবীণের বাবা নির্মল কুমার চেজার তাদের নির্দেশ মত,টাকা দিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।  পরে লালবাজারের গোয়েন্দারা ওলঙ্গা বৈদ্য,মিজানুর লস্কর,দুধকুমার হালদার,সনাতন অধিকারীকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার করে।পরে জানা যায় ম্যানেজার রাকেশ আসলে জুলফিকার লস্কর।

advertisement

আরও পড়ুন: এক্সাইড মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, টায়ারের দোকানের আগুনে আটকে ৩

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

কয়েক বছর বিচার চলার পর, ২৫ জানুয়ারি দুধকুমার হালদার, ওলঙ্গা বৈদ্য,জুলফিকার লস্করকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।কিন্তু প্রবীনের দাবি ওই সময় ৬ থেকে ৭ জন ছিল।তাদের সবাইকে পুলিশ ধরেনি। অতএব তাদের সাজাও হয়নি।  প্রবীণ পরে জানতে পেরেছিল ,ভাস্কর নামে যে কারখানার মালিক সেজে ফোন করেছিল।সেই লোকটি জেল থেকে প্রবীণকে ফোন করে টোপ দিয়েছিল। তিনজনের যাবজ্জীবন হওয়ার পরও প্রবীণের আশঙ্কা থাকছে, বাকি অপরাধীরা অনেকে ধরা পড়েনি এবং তাদের কোন সাজা হয়নি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
West Bengal News: অপহরণকারীরা সবাই ধরা পড়েনি, মাত্র তিনজনের জেল হয়েছে, ভবিষ্যতে কিছু হবে না তো!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল