কলকাতায় এসএসকেএম ( SSKM ) হাসপাতালের কাছে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন ইন্দ্রদেব সাউ। আনুমানিক বছর পঁয়ষট্টির এই ভদ্রলোক ৪৫ বছর ধরে ছাতু বিক্রী করেন। মূলত ছাতুর শরবত ও ছাতু মাখানি বিক্রি করেন। ত্রিপল টাঙিয়ে, ঘাসের ওপর বসে চলে ব্যবসা। প্রতিদিন বাঙালি-অ বাঙালি প্রচুর মানুষ তাঁর বাধা খদ্দের।
advertisement
নির্বাচনের সাত দিন আগে চলে যান নিজের বাড়ি। কারণ সেখানেই ভোটার কার্ড তাঁর। গুজরাত, ওড়িশা, হরিয়ানা-সহ বেশ কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যের মতো বিহারেও বাংলার শ্রমিকদের অপমান করা হচ্ছে, তাঁদের আটকে রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই দাবি তুলে জোরদার ইস্যু তৈরি করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
১৬ জুলাই প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যােপাধ্যায়। ইন্দ্রদেব সাউ বলছেন, “আমাকে এখানে কেউ অপমান করে না। আমার ভাষা নিয়ে কেউ কথা বলে না। আমি বাংলাকে আপনা করে নিয়েছি। বাংলাও আমাকে আপন করে নিয়েছে। নইলে ৪৫ বছর ধরে কী করে কাটালাম এই বাংলায়?”
ইন্দ্রদেব সাউ আরও বলেন, “বাংলায় থাকতে গেলে অপমানিত হতে হয় না। জন্ম সার্টিফিকেট দিতে হয় না। হিন্দি ভাষা হলেও তাচ্ছিল্য করা হয় না। উল্টে বাংলার আনাচে কানাচে নানান ভাষাভাষীরা স্থায়ী বাসস্থান গড়ে আছেন। এখানেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির থেকে আলাদা বাংলা৷”
এই বাংলা ভাষার অস্মিতাকে সামনে রেখেই ২৬ এর নির্বাচনের রূপরেখা বানাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। সেই ইঙ্গিত মিলেছে ২১ জুলাই তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাষণে। বিরোধীরা যাই বলুক, ইন্দ্রদেব সাউরা যখন বলেন “বাংলা আমাকে অপমান করে না” তখন বোঝা যায় বাংলায় সহমর্মিতা হারিয়ে যায়নি।