গত বুধবার উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠক করার সময়ই পুরভোটের বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় যে আগে কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট হবে, তারপর বাকি পুরসভা ভোট নিয়ে ভাববে রাজ্য তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। সেদিনই পুরসভাগুলিকে নাগরিক পরিষেবায় নজর দিতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের তরফে কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১, যা প্রায় মেনেই নিয়ে নির্বাচন কমিশন। তবে এখনও কমিশনের তরফে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: ইভিএম-এই পুরভোট, কিন্তু থাকছে না ভিভিপ্যাট! প্রস্ততি শুরু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
রাজ্যের ১১৪টি পুরসভার মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। প্রশাসক নিয়োগ করে প্রতিটি পুরসভা পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে শেষ হয়েছে উপনির্বাচন। তার পরই পুরসভায় ভোট করাতে আগ্রহ প্রকাশ করে রাজ্য। তারই অঙ্গ হিসাবে এ বছরই কলকাতা এবং হাওড়ায় পুরভোট করানোর আর্জি জানিয়েছিল সরকার। তার পর ধাপে ধাপে হতে পারে বাকি পুরসভাগুলির ভোট। যদিও রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি চাইছে, রাজ্যের সমস্ত পুরসভার ভোট এক সঙ্গে হোক।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার সায়নী, থানার বাইরে হামলা! ত্রিপুরা যেতে চেয়েও পৌঁছনো অনিশ্চিত অভিষেকের
খুব তাড়াতাড়ি কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার আগে সোমবার সব দলের সঙ্গে বসে বৈঠক করে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করতে চায় কমিশন। সমস্ত পুরসভার একসঙ্গে ভোট করার দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট কমিশনের কাছে জানতে চায়, কেন একসঙ্গে সমস্ত পুরসভার ভোট করা হচ্ছে না। তা হলফনামা দিয়ে জানানোর কথা বলে কমিশন বলে, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না। তবে এই আইনি জটিলতা কাটলেই যাতে ভোট করানো যায় সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছে কমিশন।