হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসক নবারুণ রায়ের তত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে৷ শ্বাসকষ্ট, কাশির তো ছিলই, একইসঙ্গে অস্বাভাবিক রক্তচাপের সমস্যাও দেখা দিয়েছে তাঁর। হার্টবিটও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই৷ হৃদস্পন্দনও অনিয়মিত হয়ে পড়েছে তাঁর। একইসঙ্গে ব্রেনেও অত্যন্ত প্রভাব পড়েছে প্রবীণ মন্ত্রীর। এই পরিস্থিতিকে চিকিৎসকরা বলছেন, ব্রেন এন্সেফালোপ্যথি। যদিও পরিবার কোনও কিছুই এই বিষয়ে বলতে চাইছে না এখনও। মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
advertisement
শুক্রবার যখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন তাঁর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ একেবারেই নেমে গিয়েছিল। চিকিৎসা পরিভাষায় ওই অবস্থাকে বলা হয় হাইপক্সিক রেস্পিরাটরি ফেলিওর। সোমবারের আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। ফুসফুসের সিটি স্ক্যান ও এক্স-রে করা হয়েছে। বুকে হাল্কা নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি৷ সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসেন কাজে৷ শুক্রবার দুপুরে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ট্যাবলো উদ্বোধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি৷ সারাদিন রোদের মধ্যে থেকে বাড়িতে ফেরার পর অসুস্থ বোধ করতে থাকেন৷ এরপরই সত্তরোর্ধ্ব নেতাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ট্যুইটারে লিখেছেন, 'বর্ষীয়ান নেতা সাধন পান্ডে গভীর সঙ্কটজনক। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। অচেতন। যন্ত্রসমর্থন চলছে। সোমবার MRI হওয়ার কথা। মস্তিষ্কের অবস্থা চিকিৎসকদের কাছে স্পষ্ট নয়। ঈশ্বরের কাছে তাঁর আরোগ্য কামনা করি।'