বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জমির মিউটেশেন বা চরিত্র বদল নিয়ে ঢিলেমি হয়। এছাড়াও বিদ্যুত সংযোগ,দূষণ দমকল, ফ্যাক্টারি লাইসেন্স ও ভূগর্ভের জল ব্যবহারে ছাড়পত্র পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। প্রশাসনিক ঢিলেমি চলে। ইতোমধ্যে একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিষয়টি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের দেখার নির্দেশও দিয়েছেন। তাই এবার গোটা ব্যবস্থাটি নজরদারির জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসক দের নেতৃত্বে মনিটারিং কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: কল্যাণময়ের বাড়িতে হানা ইডি-র, চাকরি দুর্নীতিতে জাল গোটাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
১০ জনের এই কমিটিতে জেলার পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনার, ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারী, পরিবেশ,বিদ্যৎ, জলসম্পদ অনুসন্ধান দপ্তরের আধিকারিকদের রাখা হয়েছে। মাসে অন্তত এক বার এই মনিটারিং কমিটি বৈঠকে বিনিয়োগের আবেদনগুলি কি অবস্থায় রয়েছে,ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে একধিক সরকারি দপ্তরের কোনও সমস্যা হলে তার সমাধান সূত্র বেড় করবে। এছাড়া কোনও ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে ঢিলেমি দেখলেই ব্যবস্থা নেবে। নিয়মিত এই মনিটারিং কমিটির বৈঠকের রিপোর্ট নবান্ন পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুন: রহস্যে ভরা ভারতের এই উপত্যকা, বদলে যায় মোবাইলের সময়-তারিখ, কাঁপে স্ট্রিটলাইট
রাজ্য সরকারের মতে ,এই মুহূর্তে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুঠির শিল্পে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ কাজ করছেন। নির্দেশিকায় মুখ্যসচিব পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন,ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প স্থাপনে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়াই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এজন্যই একজানলা নীতি সামনে রেখে জেলাস্তরে ফেলিসিটেশন সেন্টার তৈরি করা। বিনিয়োগকারীর লাইসেন্স বা ছাড়পত্র সংক্রান্ত কোনও আবেদন ঢিলেমি হলে সক্রিয় ভূমিকা নেবে সেন্টার। প্রয়োজন মতো হস্তক্ষেপ করবে। জনপরিসেবা সময় মতো যাতে পাওয়া যায় তার জন্য আইন তৈরি হয়েছে। কোন কাজ কত দিনের মধ্যে করতে হবে তা পরিষ্কার করে বলা রয়েছে। না করলে সংশ্লিষ্ট সরকারি সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ঢিলেমি দেখলে সেই আইন প্রয়োগ করতে হবে।