স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রথমত আশঙ্কাজনক রোগীদের ক্ষেত্রে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে যাতে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যায়, প্রধানত সেই উদ্দেশ্যেই এই গাইডলাইন তৈরি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, রোগীদের অহেতুক রোগ ও রক্তপরীক্ষা কমানোও গাইডলাইন তৈরির অন্যতম কারণ। তৃতীয়ত, রাজ্যের একই স্তরের হাসপাতালগুলিতে উপসর্গ দেখে একই ধরনের বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার চর্চাকে প্রশ্রয় দেওয়াও অন্যতম উদ্দেশ্য। রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে মেডিক্যাল কলেজগুলির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে এই নিয়ম।
advertisement
আরও পড়ুন: হাত দিয়ে গোপনাঙ্গ ছিঁড়ে, হৃদপিণ্ড খুবলে প্রেমিকার প্রাক্তনকে খুন! অবিশ্বাস্য নৃশংসতা হায়দরাবাদে
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর অনুযায়ী, এস এস কে এম হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ এস কে চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১৩ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্তাকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন শিক্ষক চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ এবং একজন করে সার্জেন, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ, স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ, নেফ্রোলজিষ্ট, কার্ডিওলজিস্ট, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, অর্থোপেডিক চিকিৎসক ও একজন এন্ডোক্রিনোলজিষ্ট রয়েছেন। বাকি তিনজন চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যভবনের বিশিষ্ট পদে প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বন্ধ ক্লাব ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পলাশের পচাগলা দেহ উদ্ধার, রায়দিঘিতে চাঞ্চল্য
গাইডলাইন তৈরির বিষয়ে এই কমিটির এক সদস্য তথা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি জরুরি ইমার্জেন্সি সমস্যায় আদর্শ চিকিৎসার গাইডলাইন তৈরি করা হবে। সেই গাইডলাইন মেনে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে আপৎকালীন বিভাগে আসা অসংখ্য রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।