রায়দিঘি: বন্ধ ক্লাব ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়দিঘি থানার কাছারিবাজার মোড় এলাকায়। মৃত যুবকের নাম পলাশ ভুঁইয়া। জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় রায়দিঘির কাছারিবাজার মোড়ের ফোনিক্স স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যরা ক্লাবের দ্বিতলে গিয়ে দেখেন ক্লাবের উপরের ঘর ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে। এরপরেই বাইরে থেকে জানালা খুলতেই দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে ক্লাবের সদস্যরা দেখেন ঘরের মধ্যে একটি পচাগলা দেহ ঝুলছে।
খবর দেওয়া হয় রায়দিঘি থানার পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে রায়দিঘি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত যুবক পলাশের মা ও মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ডহারবার পুলিশ মর্গে পাঠায়। পুলিশের দাবি, গত ছয় মাস আগে পলাশ ভুঁইয়ার বাবা মারা যান। এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পলাশ। গত চার দিন আগে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই তাঁর আর কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ক্লাবের বন্ধ ঘর থেকে।
আরও পড়ুন: হাত দিয়ে গোপনাঙ্গ ছিঁড়ে, হৃদপিণ্ড খুবলে প্রেমিকার প্রাক্তনকে খুন! অবিশ্বাস্য নৃশংসতা হায়দরাবাদে
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক। স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় পলাশ সুদের ব্যবসা করত। সম্প্রতি দেনায় পড়ে যায় পলাশ। তারই জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। অবশ্য প্রশ্ন উঠছে বন্ধ ক্লাব ঘরে কী ভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন পলাশ?ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্লাবের দ্বিতলে সেভাবে সদস্যরা যাতায়াত করেন না। শনিবার রাতে ক্লাবের কয়েকজন সদস্য ছাদে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে ক্লাবঘরের দরজা। জানালা খুলতেই দুর্গন্ধ পান তাঁরা।
এর পরেই দেখা যায় ক্লাব ঘরের মধ্যে পলাশ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। অন্যদিকে, পলাশের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়দিঘি থানার পুলিশ।
আনিশ উদ্দিন মোল্লা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।