ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রেডিও থেরাপীর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বিষাণ বসুকে সরিয়ে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেডিও থেরাপির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর করা হয়েছে। পাশাপাশি সরানো হল সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেন্সনিক মেডিসিন এর অধ্যাপক চিকিৎসক পরাগ বরণ পালকে। তাঁকে ট্রান্সফার করা হয়েছে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগে। অন্যদিকে কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেনারেল সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক ডঃ মানস গুমটাকে পাঠানো হল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের সরস্বতী দত্তকে স্থানান্তর করা হল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
advertisement
এই সমস্ত চিকিৎসকরা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের নির্বাচনে কেউ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কেউ বা কাউন্টিং এজেন্ট ছিলেন। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের নির্দেশে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের স্পেশাল অফিসারের তরফ থেকে নথিপত্র সংগ্রহের পরেই আকস্মিকভাবে ট্রান্সফার অর্ডার আসে এই সমস্ত চিকিৎসকদের নামে।
তবে স্বাস্থ্যভবনের তরফে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'এই বদলি নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। অন্য কোনও বিষয় বা রাজনীতি এই বদলির জন্যে দায়ী নয়।' এবিষয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য তথা তৃণমূলপন্থী চিকিৎসক কৌশিক বিশ্বাস বলেন, ‘নির্দেশিকা নিয়ে বলার কিছু নেই। রুটিন বদলি হতে পারে তবে, এক শ্রেণির বি জে পির মদতপুষ্ট বামপন্থী চিকিৎসক যে ভাবে রাজ্যের বদনাম করছেন, তাতে এটাই প্রত্যাশিত ছিল।’
আরও পড়ুন: 'টাইম হো গ্যায়া'... নবান্নের ১৪ তলায় মমতা-শাহ 'একান্ত' বৈঠক নিয়ে কোন 'ইঙ্গিত' শুভেন্দুর?
অন্যদিকে সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক সজল বিশ্বাস এবং মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, চিকিৎসকদের বদলি প্রক্রিয়ায় অবাধ নিয়ন্ত্রণ শাসক দলের কাছে এক শক্তিশালী হাতিয়ার। যে কোনও সরকার সমস্ত রকম গণতান্ত্রিক কন্ঠকে রোধ করতে এই অস্ত্রকেই হাতিয়ার করে। আমরা দেখেছি পূর্বের জমানাতে সিপিএম সরকার এই একই অস্ত্রকে হাতিয়ার করে সমস্ত রকম বিরোধী কন্ঠকে দিনের পর দিন ধরে দূরবর্তী অঞ্চলে ট্রান্সফার করে রেখেছে। একই কায়দায় তৃণমূল সরকারও ব্যাবহার করছে।