দৈনিক চিকিৎসা খরচের আপডেট দিতে হবে। যাবতীয় রেকর্ড রোগীকে দিতে হবে এবং তা সংরক্ষণ করতেও হবে। সরকারি গাইডলাইন ছাড়িয়ে অতিরিক্ত খরচ নেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ২ লিটার জল খেয়ে ২০ লিটার দেখিয়ে, ৫টা ওষুধে ৫ লক্ষ টাকার বিল— এটা আর চলবে না। এমন ধরনের জনমুখী বিল সারা ভারতবর্ষে কোথাও নেই।
advertisement
রাজ্য সরকার চায়, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র হাতে হাত ধরে পরিষেবা দিক। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালের বিল নিয়ে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েন। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই এই সংশোধন। রোগীর অধিকার থাকবে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ জানার। রেগুলেটরি কমিশনের নজরদারিতে এই বিল বাস্তবায়িত হবে। কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন জাস্টিস অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন চালুর জন্য রাজ্য সরকার নিজস্ব সফ্টওয়্যার তৈরি করবে। বিলে ১৬টি সংশোধনী যুক্ত হয়েছে। লাইসেন্স নবীকরণের সময়সীমা রাখা হয়েছে ৯০ দিন।
শাসক দলের একাধিক বিধায়ক বলেন, এই বিল দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াবে। যেভাবে প্রাইভেট হাসপাতালগুলি কসাইখানায় পরিণত হয়েছে, সেখান থেকে রেহাই দিতেই এই উদ্যোগ। আবার বিরোধী শিবিরের বক্তব্য একাধিক জায়গায় এখনও ফাঁক থেকে যাচ্ছে। সেটা মেটাতে না পারলে লাভজনক হবে না এই বিল। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মানুষের স্বার্থেই এই বিল। কেউ যেন এক জনের ভুলে পুরো ব্যবস্থার ক্ষতি না করে, সেটাই দেখা হবে।’’