কোন রাস্তায় কত গতিতে গাড়ি চলতে পারবে তা নোটিফিকেশন করা হয়েছে রাজ্য জুড়ে।পথদুর্ঘটনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রকল্পে রাজ্যে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। বিধানসভায় পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, গত কয়েক বছরে রাজ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। এর পাশাপাশি দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারিও জোরকদমে চলছে বলেও জানান তিনি।
advertisement
মন্ত্রী জানান, ২০১৫ সালে রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ১৭,৫৫৫। ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ১৩,৯৯৫। ২০২৩ সালে দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৫১ জনের। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৫ হাজার ৯৬৩ জনের। ক্ষতিগ্রস্তদের ১ হাজার ৯২৩টি আবেদন খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৩৮ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্কুল-কলেজে সচেতনতামূলক প্রচার, ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিতকরণ এবং নিয়মিত রোড সেফটি কমিটির বৈঠকের ফলেই এই উন্নতি। কলকাতার ক্ষেত্রেও দুর্ঘটনার হার কমেছে। দুর্ঘটনা আরও কমাতে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। পাইলট প্রকল্প হিসাবে বিমানবন্দরের সঙ্গে সংযোগকারী ১০টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানবাহনের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে একটি অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ‘১ টাকা’ কোন দেশে ‘৫০০ টাকার’ সমান বলুন তো…? শুনলেই চমকাবেন ‘উত্তরে’!
তবে এরপরও কিছু মানুষ নিয়ম মানছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য, ১০টি রুটে নজরদারি চলছে। ২-৩ বার সতর্ক করার পরও যদি কেউ না শোনেন, তবে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হবে। বিরোধীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সরকারের একার পক্ষে সচেতনতা সম্ভব নয়। দুর্ঘটনা রোধে সকলে মিলে প্রচারে নামতে হবে।