রাজভবনে ধুপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রাজ্যপাল তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান। সাম্প্রতিক সময় এই প্রথম রাজ্যপাল কোনও বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করালেন।
সেই অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যপাল নিজেই সংবাদমাধ্যমের দিকে এগিয়ে আসেন। রাজভবনে কি নজরদারি হচ্ছে? এই প্রশ্নের কথায় কার্যত অল্প জবাব দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন “আউটসাইড রাজভবন দেয়ার ইজ ভায়োলেন্স। ইনসাইড রাজভবন বাই-লেন্স।” রাজ্যপালের এই মন্তব্যে অন্তত রাজনৈতিক মহলের বুঝতে একেবারে অসুবিধা হয়নি যে, রাজভবনের নিশানা এ বার কার্যত নবান্নের দিকেই। গত বুধবার রাতে রাজ্যপালের দফতর এবং রাজ্যপালের সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে কলকাতা পুলিশকে সরিয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ সিআরপিএফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাজভবন চত্বর ও রাজভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকবে কলকাতা পুলিশই ।
advertisement
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি রুখতে একজোট ৪০০ ক্লাব! হাওড়া পুরসভার বিশেষ উদ্যোগ
আরও পড়ুন, এখনই বাতিল হচ্ছে না ২০০০ টাকা, নোট বদলানোর সময়সীমা বাড়াল RBI
রাজ্যপাল যখন এই মন্তব্য করছেন সেই সময় শাসকদলের বিধায়ক তাপস রায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি অবশ্য বলেন “এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, তিনি পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। আমরা আশা করব আমাদের রাজ্যে সংবিধান প্রধান তাঁর সরকারের প্রতি সাংবিধানিক কর্তব্য এবং দায়িত্ব পালন করবেন।”
রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত এখন চরমে। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা থেকে শুরু করে একের পর এক ইস্যু নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। এমনকি ধুপগুড়ির উপনির্বাচনে জিতে আসা শাসকদলের বিধায়কের শপথ বাক্য অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেও রাজভবন-বিধানসভা সংঘাত শুরু হয়েছিল। যদিও এ দিনের অনুষ্ঠানে স্পিকার এবং পরিষদীয় মন্ত্রী কেউ ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে ধুপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “সবাই একসঙ্গে থাকলে অনুষ্ঠানটি আরও ভাল হত।”