আরও পড়ুন-অন্যরা প্রার্থীর খোঁজে, আজ থেকেই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এবারের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পগুলোতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য সবথেকে বেশি ভিড়। আগেরবারের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের আকর্ষণ ছিল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।কিন্তু এবারের ভিড় বাঁধভাঙা। কারণ একটাই- লক্ষ্মীর ভান্ডার। প্রসঙ্গত অনেকেই বলেন, একুশের ভোটে অর্ধেক আকাশেই লুকিয়ে ছিল নীল বাড়ির চাবিকাঠি। বাংলার মেয়েকে যেটাতে উজাড় করে ভোট দিয়েছেন বাংলার মা বোনেরা। আর এবার ভোটের পর মা বোনেদের জন্য দরাজহস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কার্যত শুরু থেকেই সুপারহিট এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প।
advertisement
নবান্ন সূত্রে খবর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রত্যেক মাসে ১৩০০ থেকে ১৪০০ কোটি টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসে যদি দু'কোটি মহিলা এই সুবিধা পান তাহলেই রাজ্যের কোষাগার থেকে এই খরচ হবে বলেই মনে করছে রাজ্য অর্থ দফতরের আধিকারিকরা। যদিও সেই অর্থের সংস্থানের জন্য ইতিমধ্যেই নারী ও শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা রয়েছে ।
আরও পড়ুন- সমদর্শীর দ্বিতীয় ইনিংস, এবার ওয়েব সিরিজের পরিচালনায় অভিনেতা
প্রসঙ্গত রাজ্যে এবার মহিলা ভোটার প্রায় ৪৯ শতাংশ ৷ সংখ্যার আকারে ৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৭। তার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার ২৮৮ জন। পর্যবেক্ষকদের মতে মহিলাদের অধিকাংশের সমর্থনই এবারের বিধানসভা ভোটে পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তিনি কথা রাখছেন। মহিলাদের জন্যই এসেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার।