এদিনের দেওয়া নির্দেশে বলা হয়েছে ,যে অঞ্চলে বাজি কারখানা রয়েছে তার সংলগ্ন অঞ্চলেই যে সমস্ত জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে তার তালিকা তৈরি করে আগামিকাল, মঙ্গলবারের মধ্যেই পাঠাতে। প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকার ক্লাসটার তৈরি করার কথা পরিকল্পনা করলেও আপাতত পরিত্যক্ত জমিগুলিতে বাজি তৈরির কারখানা করতে চাইছে নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বাজি কারখানার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। তাই তাদের আর্থিক সমস্যা যাতে না হয় তার জন্যই দ্রুত এই পদক্ষেপ নিতে চাইছে নবান্ন শীর্ষ মহল।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ কয়েকটি জেলায় একাধিক বাজি কারখানা রয়েছে। ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহে মুখ্য সচিব স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন জনবহুল এলাকায় বাজি কারখানা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে সেই বাজি কারখানা গুলিকে কিভাবে স্থানান্তর করা যায় তার জন্যই সেই অঞ্চলের আশপাশেই পরিত্যক্ত জমি খোজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বাজি কারখানার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের অসুবিধা হবে না বলেও মনে করছে নবান্নের শীর্ষ মহল। গত শুক্রবার মুখ্য সচিব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক করেন বাজি কারখানাকে কেন্দ্র করে। সেখানে পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রি করার পাশাপাশি শব্দবাজি বিক্রি নিয়েও একাধিক নিষেধাজ্ঞার কথা জানান মুখ্য সচিব।
শুধু তাই নয়, বেআইনি বাজি উদ্ধারের অভিযান আরও চালানোর নির্দেশ পুলিশকে দিয়েছেন মুখ্য সচিব। গত সপ্তাহে শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের খাদিকুল গ্রাম পরিদর্শনে যান। খাদিমুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের হোম গার্ডের চাকরি ও আর্থিক সুবিধা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরই সঙ্গে আগামী দিনে রাজ্য সরকার যে ক্লাস্টার গড়ে তুলতে চায় সেই বিষয়েও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তার পরপরই মুখ্য সচিবের তরফে জেলাশাসকদের এই নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মূলত কোন কোন জেলায় বাজি কারখানাকে কেন্দ্র করে কী কী ধরনের পরিকাঠামো গড়ে তোলা যেতে পারে তার জন্যই দ্রুত এই তালিকা যাওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের কাছে বলেই মনে করা হচ্ছে।