ভারতীয় একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা ১৮৪ (২০১১) থেকে বেড়ে ৩৪৩ (২০২২)-এ পৌঁছেছে। বাঘের সংখ্যা ১০১ এবং হাতির সংখ্যা বেড়ে ৬৮২ হয়েছে।
মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাতের মোকাবিলায় গজমিত্র নিয়োগ, দ্রুত ক্রিয়াশীল বাহিনী (র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স) ও ঐরাবত নামক বিশেষ যানের ব্যবহার এবং আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের মৃত্যু, আঘাত এবং ফসলের ক্ষতির ঘটনা কমানো গিয়েছে।
advertisement
পশুর দ্বারা ক্ষতি (মৃত্যু/আঘাত/ফসল/ঘরবাড়ির ক্ষতি) সম্পর্কিত দীর্ঘকালীন বকেয়া প্রদান করা হয়েছে এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে ১৪.১১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যা অন্য যে কোনও অর্থবর্ষে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের থেকে বেশি। বিগত পাঁচ বছরে মোট ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বন্য প্রাণীর দ্বারা মানুষের মৃত্যুর জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ মৃত্যুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রদান করা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও, মৃতের পরিবারের একজন সদস্যকে বন বিভাগে ‘বন স্বেচ্ছাসেবক’ হিসাবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেশন বন্টন দুর্নীতি ইস্যুতে এবার খাদ্যভবন অভিযানের ডাক বিজেপির কিষান মোর্চার
আরও পড়ুন: খুচরো টাকায় ব্রিগেড করবে DYFI, ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে কোচবিহার থেকে শুরু ইনসাফ যাত্রা
বন্য প্রাণীর দ্বারা মানুষের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২০১৮ সালে ২.৫০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লক্ষ টাকা এবং ২০২১ সালে ৪ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। মানুষের প্রাণহানি এবং চা-বাগানের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উত্তরবঙ্গে ৫টি হাতি চলাচলের রাস্তা স্থাপনের জন্য একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যা সমীক্ষার জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে।
রেডিও-কলারিং এবং কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে সুন্দরবনের বাঘ এবং নদীচরের কচ্ছপ (বাটাগুড় বাসকা), উত্তরবঙ্গের চিতাবাঘ এবং শকুন, দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের রেডপান্ডা এবং উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের হাতিদের পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু করা হয়েছে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে জিপস শকুন এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পে নদীচরের কচ্ছপ (বাটাগুড় বাসকা) পালন করা হচ্ছে এবং এই বিপন্ন প্রজাতিগুলির সফল প্রজনন এবং তাদের স্বাভাবিক বাসস্থানে মুক্ত করা হচ্ছে।
বন্যপ্রাণ শাখা, বন্যপ্রাণ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় (WCCB), পুলিশ, শুল্ক দফতর এবং সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষীর মতো বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় রেখে বন্যপ্রাণ সম্বন্ধীয় অবৈধ ব্যবসা রোধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ সালে তিন হাজারেরও বেশি পাখি, সাপ, কচ্ছপ, কাছিম, তক্ষক, গিরগিটি, গোসাপ, কুমির ইত্যাদি উদ্ধার ও পুনর্বাসন করা হয়েছে।