উপস্থিতি হার পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন দফতরে। প্রশাসনিক মহলের ধারণা সকাল ১১.৩০ এর মধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতরে ধর্মঘটকে উপেক্ষা করে উপস্থিতির হার কত সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই ধর্মঘট নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। আজ কোনও সরকারি কর্মচারী অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে শোকজ করা হবে, সঙ্গে তাঁর সার্ভিস ব্রেক হবে। এমনকি তাঁর বেতনও কাটা যাবে।
advertisement
অনুপস্থিত থাকলে এবং শোকজের উত্তর যথাযথ না দিতে পারলে বিভাগীয় তদন্তের সম্মুখীন হতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে। গোটা প্রক্রিয়া ২৪ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ করা হবে বলেই অর্থ দফতর নির্দেশিকা দিয়েছে।এর পাশাপাশি চারটি কারণকে এর আওতার বাইরে রেখেছে রাজ্য অর্থ দফতর। অন্যদিকে, আজকের ধর্মঘট নিয়ে সতর্ক নবান্ন। ধর্মঘট নিয়ে গতকাল দফায় দফায় বৈঠক করেছেন নবান্নের শীর্ষ মহল।
তার পরপরই গতকাল জরুরি ভিত্তিতে মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকে ডাকেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই বনধ নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেন জেলাগুলিকে মুখ্য সচিব। বৈঠকে শুরুতেই মুখ্য সচিব জেলাশাসকদের সতর্ক করে বলেন আগামী কালকের বনধ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিয়ে নজর দিতে হবে। বনধ মোকাবিলা করতে সব রকমের ব্যবস্থা নিতে হবে।
গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার সহ পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরাও। নবান্ন সূত্রে খবর সেই বৈঠকে পুলিশকেও সব রকমের পদক্ষেপে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্য সচিব। যদিও এই বৈঠক চলাকালীন নবান্নে উপস্থিত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ডিএ ইস্যুতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছেন বাম, বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি।
ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে সরকারি দফতর, স্কুল - কলেজগুলিতে। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে নবান্নের তরফে জরুরি ভিত্তিতে এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আগামীকাল থেকে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিতরণ করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। উত্তরপত্র বিতরণ করার প্রক্রিয়াতে যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা বা অনুপস্থিতি না হয় তার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা গতকালই দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন, বাংলাতেও পোস্তর চাষ চান মমতা, অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন, রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল বৈঠক! প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা?
গত ২০ ও ২১শে ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মচারীদের কর্ম বিরতির ডাকা নিয়ে নবান্নের তরফে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। ওই দুদিন অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটার পাশাপাশি সার্ভিস রুলে উল্লেখ করা হবে বলেও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। আগামী কালকের বনধকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি নবান্নের তরফে। সবমিলিয়ে আজকের বনধ কে মাথায় রেখে নবান্নের তরফে জেলাগুলিকেও বিশেষভাবে সতর্ক করা হল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়