এমনিতেই লকডাউনের জন্য আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বিধিনিষেধ একটু শিথিল হলেও তৃতীয় ঢেউয়ে আবার গৃহবন্দি হতে হয়েছে মানুষকে। এমন অবস্থায় ধর্মঘট বাড়তি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যে মানুষের দাবি নিয়ে ধর্মঘট তাঁরাই যদি ধর্মঘটের জন্য তাঁরাই সমস্যায় পড়েন তাহলে ভুল বার্তা যাবে। একই সঙ্গে ভোট এবং কোভিড পরিস্থিতির বিষয়টাও তুলে ধরেন অনেকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: একলাই চলবে বামফ্রন্ট, মালদহেও ভাঙল জোট! চরম ক্ষুব্ধ কংগ্রেস
একদিকে ধর্মঘট সমর্থন ও সেটাকে সফল করার রাজনৈতিক দায়, অন্যদিকে রাজ্য কমিটির সদস্যদের যুক্তি৷ এই দুয়ের মাঝে শ্যাম ও কূল রেখে বিকল্প পথ পেতে মরিয়া ছিলেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা। আলোচনা চলছিল দু' দিনের বদলে একদিন প্রতিকী ধর্মঘট করা যায় কি না তা নিয়েও। অথবা শিল্প ধর্মঘটের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না। বিষয়টি নিয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপি নামক সার্কাসের অংশ হতে চাই না, ট্যুইটে বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়
ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গেও আলোচনার করে মীমাংসা করার চিন্তাভাবনা চলতে থাকে। সেই সময়েই দিল্লি থেকে খবর আসে একমাস পিছোচ্ছে ধর্মঘট। ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারির বদলে ২৮-২৯ মার্চে সেই ধর্মঘট করা হবে। করোনা ও ভোটের কারণে ধর্মঘট পিছনো হলো। আর এর ফলেই কার্যত ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো সিপিএম নেতৃত্বের৷
তবে ধর্মঘট যে দিনই হোক না কেন, ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার কর্মসূচি করার জন্য নিচুতলায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোটের প্রচারেও ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্মঘট হলেও রাজ্যের যে বিষয়গুলি নিয়ে দলের তরফে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে, ধর্মঘটের প্রচারে সেই বিষয়গুলিকেও নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচার করার কৌশল নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট৷