সম্প্রতি আম আদমি পার্টির তরফেও কর্মতীর্থ প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তার জেরেই রাজ্যের কর্মতীর্থ নিয়ে তৎপরতার সঙ্গে বৈঠক? কর্মতীর্থের পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে। নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর।
সূত্রের খবর, কর্ম কর্মতীর্থ গুলো কেন কাজ করছে না? তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্য সচিব। তিনি বলেন, ''অনেক জেলাতেই কর্মতীর্থ তৈরি হলেও সেগুলো কার্যকরী হচ্ছে না। আপনারা দ্রুত সেগুলো কার্যকরী করুন। যে কর্মতীর্থের মাধ্যমে স্টল দেওয়া যাচ্ছে না, তা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করুন। অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া রয়েছে। আপনারা তা প্রচার করুন। রাজ্যে ৫২৫টি কর্মতীর্থ করা হয়েছে। কিন্তু অনেকগুলোই এখনও কার্যকরী করা হচ্ছে না। ১৫ ই মে এর মধ্যে কার্যকরী করবেন আপনারা।'' জেলাশাসক ও আধিকারিকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের।
advertisement
আরও পড়ুন: এখনও আপনার ডিজিটাল রেশন কার্ড হয়নি? এবার কিন্তু বড় সমস্যায় পড়তে হবে!
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে ক্ষমতা দখলের পর আম আদমি পার্টির(Aam Aadmi Party) পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অন্যান্য রাজ্যে সংগঠনের প্রসার করা। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দিয়েছে আপ(AAP) এবং ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে আপ এবার রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে সরব হবে গ্রামাঞ্চলে।
আরও পড়ুন: নম্বর প্লেটবিহীন একটি কন্টেইনার দাঁড়িয়ে, ভিতর থেকে যা বেরোল! চক্ষু চড়কগাছ
প্রসঙ্গত, আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের গ্রামীণ উন্নয়নে গৃহীত ‘কর্মতীর্থ’ নিয়ে সরব হয়েছে আপ। আপের দাবি, প্রকল্পে কোটি টাকা খরচ হলেও এর ব্যবহারিক কোনও প্রয়োগের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছেনা। কার্যত এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আপ নেতা সঞ্জয় বসু সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি আপ সূত্রে বলা হয়েছে, রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে যে এলাকায় তাঁদের সংগঠন শক্তিশালী সেই এলাকায় তাঁরা প্রার্থী দেবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আম আদমি পার্টির এই পদক্ষেপ আগামী দিনে কার্যত রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে যে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলতে চলেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে কর্মতীর্থ নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব।