জানা গিয়েছে, মুখ্যসচিব বৈঠকে বলেছেন, দুর্যোগে বিশেষ করে নজর দিতে হবে ভবানীপুর অঞ্চলকে। কোনও ভাবেই যাতে ভবানীপুরের জল না জমে, সেটা দেখতে হবে। জল জমলে পাম্প ব্যবহার করে জল বের করতে হবে তৎক্ষণাৎ। শুধু ভবানীপুরই নয়, যেখানে যেখানে নির্বাচন রয়েছে সেইসব জায়গাগুলিতে বৃষ্টি হলে জল জমা নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
advertisement
শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার কমিশনারকে মুখ্য সচিব নির্দেশ দিয়েছেন, কলকাতাতে এনডিআরএফ টিম রাখতে হবে। নিউটাউন ও বিধাননগরের জল জমা পরিস্থিতি নিয়েও এদিন আলোচনা করেন মুখ্য সচিব। আলোচনায় উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতিও।
আরও পড়ুন: 'দিলীপ দা নেই কেন?' 'বাঘের ডেরায়' প্রচারের শুরুতেই প্রশ্ন, যা বললেন নতুন সভাপতি...
একইসঙ্গেও সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে নদীপথগুলি পরিদর্শনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের। ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে উদ্ধারকার্য করার দরকার হবে, সেখানে সেখানে উদ্ধারকার্য করতে হবে শীঘ্রই। দক্ষিণবঙ্গের জেলাশাসকদের নিয়ে এদিন বৈঠকে মুখ্য সচিব নির্দেশ দিয়েছেন, ত্রাণ নিয়ে কোনও আপোস বরদাস্ত করা হবে না।
তবে, সবকিছুর পরেও মূল ফোকাস করা হয়েছে ভবানীপুর নিয়ে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ভবানীপুর জল জমলে তা শাসক দলের জন্য বিড়ম্বনার হতে পারে। সেই কারণেই এহেন নির্দেশ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।