কেন এই উদ্যোগ? দলীয় সূত্রে খবর, এই হারের মধ্যেও নৈতিক জয় দেখছে নেতৃত্ব। নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, '২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র পাঁচ শতাং ভোট পেয়েছিল সিপিআইএম। উপনির্বাচনে সেটা বেড়ে ৩০ শতাংশ হয়েছে। এমনকী, সম্প্রতি কলকাতা পুরসভায় দলের প্রাপ্ত ভোট খুবই কম ছিল, এটাতে সেই ভোটের হার শুধু বাড়েইনি ৬৪ এবং ৬৫ নম্বর আসনে শাসকদল তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এক নম্বর হয়ে উঠে এসেছে। যে মানুষ সমর্থন করেছেন, তাঁদের অভিনন্দন দেওয়ার জন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।'
advertisement
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী রাজ্যে সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি, আজই আবেদন করুন
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ২০১১ সালে সিপিআইএমের যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল, তাতে ভোটের শতাংশের হারে দল বিজেপি এবং অনেকক্ষেত্রে কংগ্রেসেরও পিছনে চলে গিয়েছিল। গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন জিততে পারেনি। রাজনৈতিক ভাবে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে দল। তারপর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে দল। বিধানসভার পরে খড়দহ ও শান্তিপুরের উপনির্বাচনে ভোটে জিততে না পারলেও বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বামেরা। এরপর কলকাতা-সহ বাকি পুরসভা নির্বাচনেও দ্বিতীয়। বালিগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে ভালো লড়াইও করেছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। সিপিএমের দিক থেকে বিজেপিতে চলে যাওয়া ভোটের একটা বড় অংশ তাঁদের দিকে ফেরায় উৎসাহিত আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
আরও পড়ুন: স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় প্রচুর শূন্যপদ, আজই আবেদন করুন
ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "রাজ্যের মানুষ, কর্মী,সমর্থক সবাইকে ধন্যবাদ জানাব। বিশেষ করে আসানসোল ও বালিগঞ্জের। কারণ পুলিস কোথাও সুপার ইলেকশন কমিশন হয়েছে। পতাকা নামিয়ে দেওয়া, প্রলোভন, তারপর হুমকি তো আছেই। তা সত্ত্বেও মানুষ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। আমাদের দুর্বলতা কিছু ছিল। সম্মেলন ছিল। এত কিছুর পরেও নির্বাচনের দিন কাজ করলেন কর্মীরা। মিডিয়ার একটা অংশ যেভাবে কাজ করেছে তা প্রশংসাযোগ্য। কলকাতা জুড়ে একটা সাম্প্রদায়িক প্রচার চলছে, পুলিস চুপ। বিধানসভার সময় উগ্রবাতাবরন তৈরি করা হয়েছিল। ভোটের হার নির্বাচন বা উপনির্বাচনে এত কম হয়নি। অর্থাৎ মানুষের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করছে। সব কিছুর পরিবর্তন হয়। কিন্তু সংস্কৃতি, পরিস্থিতি সব কিছুর এত দ্রুত পরিবর্তন হয় না। রুটে ফিরতে হবে। দু-চারবার ফসল নষ্ট হলে ক্ষেত উজার হয়ে যায় না। আমরা মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনবই।"
কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "আমরা দেখতে পাচ্ছি সিপিআইএম কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম করছে। নিজেদের হারানো জমি আবার ফিরে পেতে ওদের সংগঠনও যথেষ্ট সক্রিয়। সেখানে আমরা আমাদের সংগঠনকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারছি না। অবশ্যই আমাদের ভেবে দেখতে হবে।"
উজ্জ্বল রায়