বাজেটে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২০২৪-এর মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছে যাবে। চা বাগানে কৃষি আয়ের উপর কর মকুব করা হচ্ছে। GST ক্ষতিপূরণের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে বাজেটে। ৫ বছরের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে বাজেটে। এদিন ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৩০ কোটির রাজ্য বাজেট পেশ করেন চন্দ্রিমা।
এদিন বাজেট পেশ চলাকালীন বিজেপির বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের মধ্যেই বাজেট পড়ে চলেন চন্দ্রিমা। কিছুক্ষণ পরই বিজেপি ওয়াক আউট করে বিধানসভা থেকে। এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভার পোর্টিকোতে অবস্থানে বসেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দুর অভিযোগ, ''সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করা হয়েছে। সমস্ত প্রকল্প মোদিজি'র প্রকল্প। তা শুনতে কেন বসে থাকব?''
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মধ্যে তৃণমূলের 'এই' পরিণতি! সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারিতে শোরগোল
যদিও বিজেপির এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''বিরোধীদের আচরণের নিন্দা করার ভাষা নেই। যে ভাবে আপনারা বক্তব্যের সময় বাধা দান করেছে, তা লজ্জাজনক।'' বাজেট বক্তৃতার শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''উন্নয়নশীল সরকারের যা গর্বের মতো বিষয়, তা কৃষি ক্ষেত্রে বেড়েছে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় ২৫.২ গুণ ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ১৯.৪ গুণ বরাদ্দ বেড়েছে। ৭০ লক্ষ কৃষককে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।''
আরও পড়ুন: হঠাৎ নিখোঁজ সাতের শিশু, বাড়িতে এল একটি ফোন! উস্তিতে যেন আস্ত 'সিনেমা'
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ইস্তাহারে তৃণমূল ঘোষণা করেছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে সরকার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা। বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরে চালু করে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। প্রতি মাসে মহিলারা নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচ্ছেন। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডও চালু হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পও চলছে রমরমিয়ে। এই অবস্থায় ভোটবাক্সে যে প্রকল্পের সুফল মিলেছিল, আগামী এক বছরে সেই প্রকল্পের কাজ যাতে চলতে পারে সেটা বজায় রাখার চেষ্টাই হয়েছে এবারের বাজেটে।
