লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীর দলীয় নীতি, রাজনৈতিক ধারণা এবং কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করা হবে। এরপর গ্রুপ ডিসকাশনের মাধ্যমে তাদের চিন্তাভাবনা ও দলকে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এতদিন ধরে চলে আসা স্বজনপোষণ এবং যোগ্যতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলো দূর করা সম্ভব হবে বলে দল মনে করছে। প্রার্থীর রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক জ্ঞান যাচাই করতে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন GST-তে দারুণ লাভ! দাম কমছে বহু ওষুধের, মধ্যবিত্তের দারুণ সাশ্রয়…কবে থেকে নতুন দাম?
প্রার্থীদের চিন্তাভাবনা ও সমন্বয় ক্ষমতা বোঝার জন্য গ্রুপ ডিসকাশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগের নিয়মে শুধু অবিবাহিতরাই বিস্তারক হতে পারতেন, কিন্তু এবার থেকে বিবাহিত প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পুজোর পরেই প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একজন করে বিস্তারক নিয়োগ করা হবে। নির্বাচিত বিস্তারকরা দুই দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেবেন, যেখানে তাদের ভোট প্রচার এবং দলীয় নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হবে।
বিজেপি আশা করছে, এই নতুন পদ্ধতি দলীয় সংগঠনে আরও শক্তিশালী এবং যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করবে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ‘বিস্তারক’ বাছতে এ বার ‘লিখিত পরীক্ষা’ এবং ‘গ্রুপ ডিসকাশন’ পর্বের আয়োজন করছে বিজেপি। ভোটের বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন একজন করে ‘বিস্তারক’।
তাঁরা এলাকায় গিয়ে সংগঠন বিস্তার এবং সাংগঠনিক সমম্বয়ের কাজ দেখভাল করবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, গত বারের তুলনায় এ বার আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। প্রায় ৫০০ জন মতো ‘বিস্তারক’ হতে চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু আবেদনকারীদের সকলকে নেওয়া হচ্ছে না। উল্লেখ্য, আগে থেকেই কিছু বিস্তারক রয়েছেন। বাকিদের বেছে নেওয়া হবে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে। আবেদন বেশি জমা পড়েছে উত্তরবঙ্গ এবং রাঢ়বঙ্গ থেকে।