পঞ্চায়েত ভোট মিটে গিয়েছে। সামনে এবার লোকসভা নির্বাচন। চব্বিশের মহারণে ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়ে গেছেন অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে বিধানসভা আসন ভিত্তিক সভা করার কথা ছিল বঙ্গ বিজেপির। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা ৪৩টি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল, মোট এক হাজারটি সভা করতে হবে। জুন, জুলাই, অগাস্ট – এই তিন মাসের মধ্যে করতে হবে ১ হাজার সভা। কিন্তু দেখা যায়, ৩০ অগাস্টের মধ্যে টার্গেট পূরণ তো দূর অস্ত ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি।
advertisement
বাধ্য হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের নতুন সময়সীমা দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বাকি সভা করা যে কার্যত অসম্ভব তা মানছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারাই। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়নি বলে মত বিজেপিরই একটা অংশের। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য সাংগঠনিক দুর্বলতা মানতে নারাজ।
তাঁর কথায়, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন-সহ বিভিন্ন বিষয় থাকার কারণেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব সভা করা হয়ে ওঠেনি। তবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছব। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলেছি আরও কিছু সময় দিতে। তার মধ্যে এক হাজার সভা করে নেব। মূলত সংগঠনের দুর্বলতার জেরেই সব জায়গায় টার্গেট অনুযায়ী সভা করা যায়নি । কোথাও নড়বড়ে সংগঠন। কোথাও আবার কোন্দল-কাঁটা। সংখ্যালঘু প্রধান এলাকাতেও সভা করার ক্ষেত্রে বিজেপি পিছিয়ে বলে খবর।
বিজেপির মাথা ব্যথা বাড়িয়েছে আরও একটি বিষয়। যেখানে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে সেখানেও সভার কর্মসূচি করে উঠতে পারেনি বঙ্গ পদ্ম শিবির। এতেই ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারা জানতে চায়, কেন বারবার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ বঙ্গ বিজেপি ? পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ১ হাজার ২৬৩টি মণ্ডল কমিটি রয়েছে । এর মধ্যে ১ হাজার মণ্ডলে সভা করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণে কার্যত ‘ডাহা ফেল’ বঙ্গ বিজেপি।