TRENDING:

West Bengal Assembly: শাসক ৬৫, বিরোধী ১১০... জোর লড়াই হল বিধানসভায়, অধিবেশনে যোগ দিতে ফের বিধায়কদের পরামর্শ স্পিকারের

Last Updated:

রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে শাসক দলের বিধায়করা মাত্র ৬৫ সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্ন করেছেন। সেখানে বিরোধী দলের বিধায়করা ১১০ সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্ন করেছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শাসক দলের বিধায়কদের তুলনায় বেশি প্রশ্ন করেছেন বিরোধী দলের বিধায়করা। রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে শাসক দলের বিধায়করা মাত্র ৬৫ সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্ন করেছেন। সেখানে বিরোধী দলের বিধায়করা ১১০ সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্ন করেছেন। তবে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘বিধানসভায় যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ। বিধানসভায় শ্রোতাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। সবাইকে বলছি বিধানসভায় সংযত আচরণ করুন। অন্য বিধায়করা কথা বলার সময় তাদের ডিস্টার্ব করবেন না। এটা হয় না। চিফ হুইপ আপনি উপস্থিতিতে নজর দিন। আপনার ঘরে বসে গল্প করে বিধায়করা। কিন্তু তারা আসে না। এদের ডেকে নিয়ে আসা আপনার দায়িত্ব। কেন ধরে নিয়ে আসতে হবে?’’
শাসক ৬৫, বিরোধী ১১০... জোর লড়াই হল বিধানসভায়
শাসক ৬৫, বিরোধী ১১০... জোর লড়াই হল বিধানসভায়
advertisement

আরও পড়ুন– দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায় ভারী বর্ষণ, দুর্যোগ উত্তরেও ! রথের দিন অধিকাংশ জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

শাসক দল ৬৫ প্রশ্ন করেছে সাপ্লিমেন্টারি, সেখানে বিরোধী দল ১১০ সাপ্লিমেন্টারি করেছে। তাই বিধানসভায় এসে বাইরে বসে থাকবেন এটা কাম্য নয়। প্রসঙ্গত উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্নে অনীহা শাসক দলের বিধায়কদের। বিরোধী দলের বিধায়কেরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প ও নিজের এলাকার একাধিক বিষয় তুলে ধরছেন। প্রশ্নোত্তর থেকে মেনশন সব পর্বে তাঁরা এগিয়ে। বিরোধীদলের উত্তরবঙ্গের বিধায়করা একাধিক বিষয়ে জানতে চান। পিছিয়ে নেই দক্ষিণবঙ্গের বিধায়কেরা। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক তৃণমূল বিধায়কদের প্রশ্ন করতে বলছেন। বারবার বলছেন সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্ন করতে। তার পরেও চুপ করে থাকছেন শাসক দলের বিধায়করা। এর পাশাপাশি শাসক দলের বিধায়কদের উপস্থিতির হার অত্যন্ত কম। গোটা বিষয়টি নজর এড়ায়নি মুখ্যমন্ত্রীর। হাতে গোনা ৫ থেকে ৬ বিধায়ক শাসক দলের যারা সক্রিয়। বাকিদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক।

advertisement

আরও পড়ুন– ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের পর যশস্বী জয়সওয়ালকে খোঁচা ! হারের জোড়া কারণ খেলা শেষে জানিয়ে দিলেন ভারত অধিনায়ক

উন্নয়ন‌ যে সরকারের প্রধান হাতিয়ার, সেই উন্নয়ন ইস্যুতে বিধানসভায় প্রশ্ন তুলতেই যেন প্রবল অনীহা শাসক দলের অধিকাংশ বিধায়কের মধ্যে। এই বিষয়ে কিন্তু অনেক বেশি সক্রিয় বিরোধী বিজেপি দলের বিধায়করা। প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে শুরু করে দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব হোক বা উল্লেখ পর্ব, প্রতিদিন বিধানসভার প্রথম অর্ধে যখন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা নিজেদের এলাকা সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা ও সরকারি প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, সরকারের কাছে আবেদন করছেন নিজের বিধানসভা এলাকার কাজ করানো নিয়ে, তখন শাসক দলের অধিকাংশ বিধায়ক যেন নীরব দর্শক। এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্নের সংখ্যা এবং মান দেখে স্পষ্ট, তাঁরা এলাকার মানুষের কথা তুলে ধরতে যথেষ্ট সক্রিয়।

advertisement

আরও পড়ুন– ১৪ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে পদার্পণ, ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পুরস্কার লাভ, ২১ বছর বয়সে মৃত্যু, আজও এই নায়িকার জন্য চোখের জল ফেলেন ভক্তরা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

অন্যদিকে শাসক দলের বিধায়কদের মধ্যে যেন প্রশ্ন করতেই অনীহা। এই নিয়ে সরকারি দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ পর্যন্ত বারবার শাসক দলের বিধায়কদের আসনের সামনে গিয়ে বলেন— “প্রশ্ন করুন, প্রশ্ন করুন। সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্ন করুন”, তবুও সাড়া নেই। দলীয় বিধায়কদের এই নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে এর আগে একাধিকবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকেও বারবার দলীয় বিধায়কদের সতর্ক করা হয়েছে। আরও বেশি করে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বিধায়কদের বলা হয়েছে। তবে বাস্তবে তার প্রতিফলন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। শাসক দলের পক্ষে বর্ষীয়ান বিধায়ক সমীর পাঁজা বা কালীপদ মণ্ডলের পাশাপাশি নতুন বিধায়ক সুকান্ত পাল, জয়প্রকাশ টোপ্পো, সুমন কাঞ্জিলালের মতো হাতে গোনা মাত্র ৫-৬ জন বিধায়কই রয়েছেন যাঁদের সক্রিয়তা চোখে পড়ে। বাকিরা ওই শুধু আসেন, বসেন, দেখেন, শোনেন ও চলে যান এর পর্যায়ে। তবে সংখ্যায় কম হলেও বিজেপির বিধায়করা কিন্তু এই একটি বিষয়ে বিধানসভায় যথেষ্ট সক্রিয়। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুনদের আরও বেশি করে পরিষদীয় রীতি শেখানো হচ্ছে। আশা করব তাঁরা প্রস্তুত হয়ে আসবেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘উভয় পক্ষের মুখ্য সচেতককে বারবার বলেছি, উপস্থিতির বিষয়ে নজর দিন। পাশাপাশি প্রশ্ন বা উল্লেখ পর্বে থাকতে হবে বিধায়কদের।’’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
West Bengal Assembly: শাসক ৬৫, বিরোধী ১১০... জোর লড়াই হল বিধানসভায়, অধিবেশনে যোগ দিতে ফের বিধায়কদের পরামর্শ স্পিকারের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল