১৪ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে পদার্পণ, ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পুরস্কার লাভ, ২১ বছর বয়সে মৃত্যু, আজও এই নায়িকার জন্য চোখের জল ফেলেন ভক্তরা

Last Updated:
স্কুলে থাকাকালীন মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি ভয়া নামের তামিল ভাষায় নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
1/7
জীবনের তুলনা ফুলের সঙ্গে এমনি এমনি করা হয় না। ফুলের মতোই জীবন বিকশিত হয়, মানুষ তার কৃতিত্বে অন্যদের মুগ্ধ করে, এক সময়ে ফুলের মতোই ঝরে যেতে হয় জীবনের বৃন্ত থেকে। যে মানুষ জীবনে অনেকটা সময় কাটিয়ে বার্ধক্যে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে, তার জন্য শোকের ভার কম হয় স্বাভাবিক ভাবেই। কিন্তু, যাঁরা অকালে চলে যান, তাঁদের ভোলা কঠিন হয়ে পড়ে।
জীবনের তুলনা ফুলের সঙ্গে এমনি এমনি করা হয় না। ফুলের মতোই জীবন বিকশিত হয়, মানুষ তার কৃতিত্বে অন্যদের মুগ্ধ করে, এক সময়ে ফুলের মতোই ঝরে যেতে হয় জীবনের বৃন্ত থেকে। যে মানুষ জীবনে অনেকটা সময় কাটিয়ে বার্ধক্যে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে, তার জন্য শোকের ভার কম হয় স্বাভাবিক ভাবেই। কিন্তু, যাঁরা অকালে চলে যান, তাঁদের ভোলা কঠিন হয়ে পড়ে।
advertisement
2/7
দক্ষিণী ছবির জগতে মণীষা উন্নির মৃত্যুও ঠিক সেই রকমই এক ঘটনা। মাত্র ২১ বছর বয়সে দুর্ঘটনায় তাঁর অকালপ্রয়াণ এখনও যেন ইন্ডাস্ট্রির এক অপূরণীয় ক্ষতি।
দক্ষিণী ছবির জগতে মণীষা উন্নির মৃত্যুও ঠিক সেই রকমই এক ঘটনা। মাত্র ২১ বছর বয়সে দুর্ঘটনায় তাঁর অকালপ্রয়াণ এখনও যেন ইন্ডাস্ট্রির এক অপূরণীয় ক্ষতি।
advertisement
3/7
অভিনেত্রী মণীষা উন্নি খুব অল্প বয়সেই দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা জগত জয় করে ফেলেছিলেন। কেরলের কোঝিকোড়ে শ্রীদেবী উন্নি এবং নারায়ণ উন্নির সংসারে জন্ম হয়েছিল মণীষার, মা মোহিনীঅট্টম নৃত্যকলার বিখ্যাত এক শিল্পী, বেশ কিছু ছবিতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই মণীষা মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে নৃত্যের প্রতি আগ্রহ অর্জন করেছিলেন। তিনি ৫ বছর বয়সেই নৃত্যকলায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
অভিনেত্রী মণীষা উন্নি খুব অল্প বয়সেই দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা জগত জয় করে ফেলেছিলেন। কেরলের কোঝিকোড়ে শ্রীদেবী উন্নি এবং নারায়ণ উন্নির সংসারে জন্ম হয়েছিল মণীষার, মা মোহিনীঅট্টম নৃত্যকলার বিখ্যাত এক শিল্পী, বেশ কিছু ছবিতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই মণীষা মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে নৃত্যের প্রতি আগ্রহ অর্জন করেছিলেন। তিনি ৫ বছর বয়সেই নৃত্যকলায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
advertisement
4/7
অভিনয় জগতের প্রতি তাঁর টানও মা শ্রীদেবী উন্নির সূত্রেই। স্কুলে থাকাকালীন মাত্র ১৪ বছর বয়সেতিনি ভয়া নামের তামিল ভাষায় নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবির কাহিনীর লেখক এবং পরিচালক এম.ডি. বাসুদেবন নায়ার এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে মণীষার অভিনয় দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, তাঁকে নিজের পরের ছবিতে অভিনয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন।
অভিনয় জগতের প্রতি তাঁর টানও মা শ্রীদেবী উন্নির সূত্রেই। স্কুলে থাকাকালীন মাত্র ১৪ বছর বয়সেতিনি ভয়া নামের তামিল ভাষায় নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবির কাহিনীর লেখক এবং পরিচালক এম.ডি. বাসুদেবন নায়ার এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে মণীষার অভিনয় দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, তাঁকে নিজের পরের ছবিতে অভিনয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন।
advertisement
5/7
সেই চলচ্চিত্রটি ছিল মলয়ালম ছবি নখক্ষাতাঙ্গল, যা ১৯৮৬ সালে মুক্তি পায়। সেই সময় মনীষার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। এই ছবিতে তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সেই চলচ্চিত্রটি ছিল মলয়ালম ছবি নখক্ষাতাঙ্গল, যা ১৯৮৬ সালে মুক্তি পায়। সেই সময় মনীষার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। এই ছবিতে তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
advertisement
6/7
১৬ বছর বয়সে প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করেই তিনি জাতীয় পুরস্কার জেতেন, এর থেকেই তাঁর অভিনয় প্রতিভা সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায়। ফলে, একের পর এক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। ৬ বছরের কেরিয়ারে তিনি ২৫টি ছবিতে অভিনয় করেন।তিনি প্রিয়দর্শন, কমল, হরিহরণ এবং আরও অনেক পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তাঁর ছবিগুলো হিটও হয়েছিল। তামিল ভাষায় তিনি পুক্কল ধুত ধুধু এবং দ্রাবিড়ন ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
১৬ বছর বয়সে প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করেই তিনি জাতীয় পুরস্কার জেতেন, এর থেকেই তাঁর অভিনয় প্রতিভা সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায়। ফলে, একের পর এক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। ৬ বছরের কেরিয়ারে তিনি ২৫টি ছবিতে অভিনয় করেন।তিনি প্রিয়দর্শন, কমল, হরিহরণ এবং আরও অনেক পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তাঁর ছবিগুলো হিটও হয়েছিল। তামিল ভাষায় তিনি পুক্কল ধুত ধুধু এবং দ্রাবিড়ন ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
advertisement
7/7
১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত উন্না নেনাইচেন্নে পাত্তু পাদিচেন ছবির কথা আলাদা করে বলতেই হয়। এই ছবির গান এখনও লোকের মুখে মুখে ফেরে। এই ছবিতে মণীষার অভিনীত চরিত্রটিকে ছবির মাঝখানে মারা যেতে দেখানো হয়। কে জানত বাস্তবেও তা-ই হতে চলেছে! মণীষা শেষ ছবি ছিল শরৎকুমারের মুনরাবতী কান। ৫ ডিসেম্বর, ১৯৯২ তারিখে মণীষা এবং তাঁর মা শ্রীদেবী একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি কেরল সরকারি বাস ধাক্কা দেয় এবং মণীষার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তাঁর অকালপ্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতকে এক বিরাট ধাক্কা দেয়। আজও ভক্তরা তাঁর মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি!
১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত উন্না নেনাইচেন্নে পাত্তু পাদিচেন ছবির কথা আলাদা করে বলতেই হয়। এই ছবির গান এখনও লোকের মুখে মুখে ফেরে। এই ছবিতে মণীষার অভিনীত চরিত্রটিকে ছবির মাঝখানে মারা যেতে দেখানো হয়। কে জানত বাস্তবেও তা-ই হতে চলেছে! মণীষা শেষ ছবি ছিল শরৎকুমারের মুনরাবতী কান। ৫ ডিসেম্বর, ১৯৯২ তারিখে মণীষা এবং তাঁর মা শ্রীদেবী একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি কেরল সরকারি বাস ধাক্কা দেয় এবং মণীষার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তাঁর অকালপ্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতকে এক বিরাট ধাক্কা দেয়। আজও ভক্তরা তাঁর মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি!
advertisement
advertisement
advertisement