দ্য ম্যাকিনটশ বার্ন প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে কী সংস্কারে করতে হবে, খরচ কত পড়বে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে। যার ভিত্তিতেই অর্থ বরাদ্দ করে সংস্থাটিকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হবে। রাজ্যে এই মুহূর্তে বুথের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৮১। নির্বাচন কমিশন প্রতি বুথে সর্বোচ্চ ১২০০-র বেশি ভোটার রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে বুথের সংখ্যা আরও প্রায় ১৪ হাজার বাড়তে চলেছে। জেলা নির্বাচন আধিকারিক ইতিমধ্যেই এই নতুন বুথ চিহ্নিত করেছে।
advertisement
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সর্বদলীয় বৈঠক করে নয়া বুথ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন। সরকারি স্কুল, গ্রন্থাগার বা কমিউনিটি সেন্টারে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হয়। বহু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পরিকাঠামো খুবই দুর্বল। জানালা, দরজা ভেঙে পড়েছে, অপরিষ্কার শৌচালয় বা পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ সংযোগে নানা ত্রুটি থাকে। প্রবীন ও বিশেষভাবে শারীরিক সক্ষম ভোটারদের জন্য উপযুক্ত র্যাম নেই। ভোটারদের সাহায্য করতে কমিশনের বুথ তৈরির জায়গা নিয়েও সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, পুরনো চাকরি ফিরে পাচ্ছেন ৪২০০ চাকরিহারা! ছাড়পত্র শিক্ষা দফতরের
যদিও প্রতি বছরই এই ভোট গ্রহণগুলিতে ভোটের আগে রুটিন মাফিক সংস্কার হয়। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকািরকের দফতরে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে কোনগুলির সংস্কারে গত ভোটে হয়েছিল, খরচ কত হয়েছিল তার কোনও তথ্য নেই। সিইও দফতরের আধিকারিকরা বলেন, ‘ভোটের সময় নীচু তলায় সরকারি আধিকারিকেরা নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। সেই বুথ সংস্কারের দায়িত্ব দিলে সময় তাঁদের উপর চাপ বাড়ে। সংস্কার খরচের কোনও সাযুজ্জ থাকে না। তাই অনেক আগে থেকে সমীক্ষা করে সংস্কার করা হলে খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ভোটের সময় কোনও চাপ থাকে না। কোন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র কী সংস্কার করা হল তা নিয়ে কমিশন তথ্য ভাণ্ডারও তৈরি করবে। যাতে পরের ভোটে ওই বুথ বা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে সংস্কারের প্রসঙ্গ এলে কারণ জানা যেতে পারবে।’
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়