বাংলা খাদ্য দফতর আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক যাচাই অর্থাৎ ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করেছে ৯৭.৩৭ শতাংশ গ্রাহকের। রেশন গ্রাহকদের আধার নম্বর ও বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান রয়েছে উপরের সারিতেই। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার একটি রিপোর্ট সামনে আনে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ৯৩ শতাংশ গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ হয়েছিল। বাংলার থেকে সেই সময় সামান্য এগিয়েছিল তিন-চারটি রাজ্য।
advertisement
রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে কেন্দ্রীয় সরকারই আধার সংযুক্তিকরণ ও বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের উপর জোর দেয়। কিন্তু বিজেপি এবং এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলি এ-ব্যাপারে পিছিয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী। মাত্র ১৫টি রাজ্য ৮০ শতাংশের বেশি ই-কেওয়াইসি করেছে। রাজ্যগুলির খাদ্য বরাদ্দ ও ভরতুকি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারির পরও ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিকে বাগে আনতে পারেনি কেন্দ্র। সেখানে বাংলা দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য দেখিয়েছে। রাজ্যের সব ব্লকে ৯৩ শতাংশের বেশি বায়োমেট্রিক যাচাই হয়েছে। বাকি কাজ অনতিবিলম্বে সেরে ফেলতে খাদ্য দফতরের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেশন কার্ডের সঙ্গে কোনও নতুন আধার নম্বর যুক্ত করতে চাইলে বিশেষ সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। যে সমস্ত গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি করতে সমস্যা, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। কোনও বৈধ গ্রাহক যাতে রেশনের খাদ্যসামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী রাজ্য। ই-কেওয়াইসি ছাড়া কোনও গ্রাহককে রেশন দেওয়া দণ্ডনীয়। বাকি ২ শতাংশের কাজ তাই তড়িঘড়ি সেরে ফেলতে চাইছে খাদ্য দফতর।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক রেশন দোকানে চালু আছে ই-পস ব্যবস্থা। পাশাপাশি আধার সংযুক্তিকরণ হয়ে যাওয়ার ফলে গ্রাহকের আসল তথ্য জানা সম্ভব হবে। ফলে জালিয়াতির সম্ভাবনা কম।