এদিকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের দু'এক জায়গায় ‘ফ্ল্যাশ রেইন’ অর্থাৎ অল্প সময়ে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। সব জেলাতেই হালকা-মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে । বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি এবং অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি হবে। শষ্যের ক্ষতি হবে। নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ের এলাকায় দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমবে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে ধ্বস নামার আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আজ, শুক্রবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে ৷
advertisement
আরও পড়ুন-মঙ্গলের গোচর! দারুন সাফল্য আসতে চলেছে এই চার রাশির মানুষের জীবনে
অতি ভারী বৃষ্টি, ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বা অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জন্য ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি অর্থাৎ প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, মালদহ ও দুই দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ৭০ থেকে ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন- খুশির খবর! মরশুমের প্রথমেই শয়ে শয়ে ইলিশ ঢুকল ডায়মন্ড হারবার আড়তে
উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জের। ফ্ল্যাশ রেইনের আশঙ্কা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ পার্বত্য এলাকায় ধ্বসের আশঙ্কা। পাহাড়ি রাস্তায় ল্যান্ড স্লাইড হতে পারে। পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ আবহাওয়া দফতরের। পাহাড়ি রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমতে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে আসতে পারে। তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা-সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে। সিকিম ভুটান, অসম ও মেঘালয়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের নদীর জলস্তর আরও বৃদ্ধি পাবে। নীচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে ৷ এর ফলে নীচু এলাকার জমিতে শস্যের ক্ষতি হতে পারে।
