প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এদিন মোট ১৫ জন ক্লাস করেছেন। যাদের মধ্যে অনেকেই বিচারধীন বন্দি। আর এই পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে উপস্থিত ছিলেন তিনজন শিক্ষক। যাঁরাও ওই সংশোধনাগারে বন্দিদশা কাটাচ্ছেন। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন,ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলের তত্ত্বাবধানে মুক্ত বিদ্যালয় চলে সংশোধনাগারের ভিতরে। যেখান এতদিন করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শ্রেণিকক্ষ বন্ধ ছিল। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে এদিন থেকে রাজ্য জুড়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে, তাই সংশোধনাগারের ভিতরেও মুক্ত বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু করা হল।
advertisement
শুধু মুক্ত বিদ্যালয় নয়, ইন্দিরা গান্ধী ওপেন ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে সংশোধনাগারে স্নাতকেরও পঠনপাঠন এদিন থেকেই শুরু হয়েছে। তাতে অংশ নিয়েছেন, ১০জন পড়ুয়া ও দু’জন শিক্ষক। এঁরাও প্রত্যেকে বন্দি।সংশোধনাগার সূত্রে খবর, মোট ২৫জন পড়ুয়ার মধ্যে পাঁচ-ছ’জন শাস্তিপ্রাপ্ত বন্দি, যাঁরা এখন নিজেদের কারাদণ্ডের মেয়াদ কাটাচ্ছেন। আর যে পাঁচ জন শিক্ষক সংশোধনাগারে শিক্ষকতা করছেন, তাঁদের মধ্যে তিনজন জীবনের একটা সময়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু কোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে তাঁরা এখন সংশোধনাগারের বন্দি। তাতে কী! এখানে এসেও অন্ধকার দিক মুছে ফেলার তাগিদে শিক্ষক হিসেবে আলোর দিশা দেখাতে চাইছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে সুপার জানিয়েছেন, অনেকেই এই দশায় নিজেদের সংশোধিত করে নিতে চান। লেখা পড়ার মাধ্যমে সঠিক দিশায় জীবন এগিয়ে নিতে চেয়ে মুক্ত বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করেন। কিন্তু করোনা কালে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছেন তাঁরা। তবে এদিন থেকে ক্লাস শুরু হল কিছু পড়ুয়ার। তবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের পড়াশুনো চলেছে সেলের মধ্যেই। তাদের শিক্ষকরা গাইড করে দিচ্ছেন। পরবর্তী ধাপে যখন রাজ্যজুড়ে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস (WB school reopening) শুরু হবে, তখন সংশোধনাগারের অন্দরেও ক্লাস শুরু হবে তাঁদের।