কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে রাজীব সিনহার দাবি, রাজ্যের মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, যে ক’টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।’
advertisement
আরও পড়ুন: কার দখলে বাংলার গ্রাম? পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল লাইভ দেখুন শুধুমাত্র নিউজ ১৮ বাংলা-য়
ভোট মেটার পরই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের দাবি ছিল, স্বর্শকাতর বুথের তালিকায় চেয়েও কমিশনের কাছে তা পাওয়া যায়নি। কিন্তু মঙ্গলবার বিএসএফের দাবি উড়িয়ে রাজীব সিনহা বলেন, ‘বিএসএফের পরিকল্পনায় স্পর্শকাতর বুথের কোনও গল্প ছিল না। জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম শুধু স্পর্শকাতর কেন, ডিএম এবং এসপির সঙ্গে কথা বলে প্রতি বুথেই বাহিনী দেওয়া হবে। বিএসএফ যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না-ই পায়, তা হলে ওরা বুথগুলিতে বাহিনী দিল কী করে?’
আরও পড়ুন: গণনাকেন্দ্রে হাউ হাউ করে কান্না বিজেপি প্রার্থী গীতার, কাঁদিয়েছে নাকি তৃণমূল!
কমিশনার এদিন জানান, জেলা থেকে কমিশনের কাছে তথ্য আসছিল না। কিছুক্ষণের জন্য সমস্যায় কমিশন। প্রায় ১৫ মিনিট নির্বাচন কমিশনের দফতরে লোডশেডিং ছিল। ১৫ মিনিট বিদ্যুৎহীন থাকার পর আবার সচল হয় কমিশন। কমিশনারের দাবি, কমিশন হিসাবে গোটা রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে তারা দায়বদ্ধ। সেই অনুযায়ী সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ভোটের দিন যা যা অশান্তির খবর কমিশনের কাছে এসেছিল, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোট গণনাও শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে।
রাজীব চক্রবর্তী