১) অনেকেই আমার কাছে জানিয়েছে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি বাতিল করা উচিত এবং কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতেই নির্বাচন পরিচালনা করা উচিত এই বিষয়ে কমিশনারের মত কী তা জানতে চান রাজ্যপাল। ২) ১০ জুলাই রাজ্যজুড়ে ৪৫০০টি স্পর্শকাতর বুথেই পুনর্নির্বাচন হওয়ার প্রয়োজন ছিল, শুধুমাত্র ৬৯৭টি বুথের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত ছিল না।
আরও পড়ুন: টিভিতে সিরিয়াল দেখতে ভালবাসে কুকুর! অবাক হচ্ছেন? কুকুরদের পছন্দের তালিকা জানলে হাঁ হয়ে যাবেন
advertisement
৩) নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে রুটমার্চ এবং প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট প্রয়োজন রয়েছে। ৪) রাজ্য প্রশাসনকে সজাগ করতে হবে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে। ৫) রাজভবনের তরফে ২ হাজারের মতো অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, কী পদক্ষেপ নিল কমিশন। ৬) অনেক দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ?
সূত্রের খবর রাজ্যপালকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা, সেখানে তিনি দাবি করেছেন ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তুলনায় এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেড়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সংখ্যা। ২০১৮-তে ভাগ সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬২ হাজার। যা এবার বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৩১ হাজার। অর্থাৎ ২০১৮-এর তুলনায় বেড়েছে ৪২ শতাংশ। শুধু তাই নয়, মনোনয়ন প্রত্যাহারের সংখ্যাও কমেছে ২০১৮-এর তুলনায়। ২০১৮-তে মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছিল ২৩৬১৯ টি। অর্থাৎ ২১ শতাংশ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিল। আর এবারের সেই সংখ্যা কমে গিয়ে ৯ শতাংশ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে বলেও রাজ্যপালকে রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন: ভোট সফরে মিনাখাঁয় গিয়ে কোথায় খাবার খেলেন রাজ্যপাল? রেস্তোরাঁয় উপচে পড়া ভিড়
পাশাপাশি বেড়েছে পঞ্চায়েতে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সংখ্যা। ২০১৮ যেখানে ১ লক্ষ ১৫ হাজার প্রার্থী পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দু লক্ষ ৬ হাজার। সূত্রের খবর, মূলত রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারেরকে যে প্রশ্ন পাঠান সেখানে লিখিত ভাবে উল্লেখ করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তিনি এ উল্লেখ করেন গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেওয়া উচিত এই ধরনের মতামত উঠে এসেছে এবং হাইকোর্টের নজরদারিতে নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই প্রশ্নের ভিত্তিতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যপালকে এই তথ্য উল্লেখ করে রিপোর্ট পাঠান বলেই সূত্রের খবর।
গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন ৭৭৭৩ টি অভিযোগ কমিশনের কাছে এসেছে বলেও রাজ্যপালকে রিপোর্টে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। যার মধ্যে ৭১১ টি অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বারা টেলিফোনের মাধ্যমে এবং বাকি অভিযোগগুলি বিভিন্ন জেলা মহকুমা স্তর এবং ব্লক স্তরে এসেছে। যে অভিযোগগুলি নিষ্পত্তি করাও হয়েছে বলেও রাজ্যপালকে রিপোর্টে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। বৃহস্পতিবারই এই রিপোর্ট রাজ্যপালকে পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিক ভাবে মোতায়েন হয়েছিল নাকি, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা আটকাতে কী পদক্ষেপ করা হয়, তা নিয়েও রাজ্যপাল জানতে চান রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের থেকে। তারও বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যপাল কে বলেই সূত্রের খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়