চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে এই মুহূর্তে পাঁচটি রিজিয়ন অফিস এবং ১৮ টি জেলায় অফিস রয়েছে ড্রাগ ডাইরেক্টোরেট -এর অধীনে। কিন্তু সেগুলির পরিকাঠামো আরও উন্নত করা প্রয়োজন। ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিও প্রয়োজন। সেই কারণেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর শিলিগুড়ি, বর্ধমান,বহরমপুর, বাঁকুড়া... এই চার জায়গায় ৪ হাজার স্কয়্যার ফিটের রিজিওনাল অফিস করতে চায়। শুধু তাই নয়, প্রতিটি জেলার সদর দফতরে ১ হাজার থেকে ২ হাজার স্কয়্যার ফিট পর্যন্ত নির্দিষ্ট অফিস করতে চায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তার জন্য প্রতিটি জেলাকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তৎপরতার সঙ্গে এই অফিসগুলি তৈরি হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে হঠাৎ জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা, গা ছাড়া মনোভাব আটকাতে বড় নির্দেশ?
মূলত বেশ কয়েকটি জেলায় অস্থায়ীভাবে ড্রাগ ডাইরেক্টোরেট- এর অধীনে এই অফিসগুলি চলছিল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর শুধুমাত্র কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলায় ওষুধের মান যাচাই করতে চায়। শুধু তাই নয়, ভেজাল ওষুধ আটকাতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নজরদারি বাড়াতে চায় রাজ্য । তার জেরেই এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিড নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। স্বাস্থ্য দফতরের সব জেলার আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ও সুপারদের সেই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবারের বৈঠক ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হল সব জেলার আধিকারিকদের। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের কথায়, একাধিক জেলায় সেন্ট্রাল ড্রাগ ডাইরেক্টোরেট অফিস রয়েছে ড্রাগ ডাইরেক্টর-এর অধীনে। সেই অফিসগুলিকেই উন্নত মানের করার কথা বলা হচ্ছে। মূলত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ যে রাজ্যে আসে, সেই ওষুধগুলির উপর নজরদারি করার জন্য ড্রাগ ডাইরেক্টোরেটকে আরও বেশি সচল করতে চাইছে রাজ্য সরকার। তার জন্যই এই নির্দেশ বলেই দাবি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়