বস্তুত এই নির্দেশিকার নতুন নয়। সেই ২০১৩ সালেই পানমশালা বা গুটখার মতো তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। নবান্নের নতুন নির্দেশিকায় আসলে সেই মেয়াদই বৃদ্ধি হচ্ছে। এই নতুন নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে পুরসভা কলকাতা পুলিশ জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে।
আরও পড়ুন-কাল থেকেই শুষ্ক আবহাওয়া বাংলায়, সপ্তাহান্তে নামবে রাতের পারদ
advertisement
আগামী ৭ নভেম্বর থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে ২০০৬ সালের খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী।
উল্লেখ্য, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে রাজ্যে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ এই ধরনের নেশা করেন। ফলে লুকিয়েচুরিয়ে নেশাদ্রব্য বিক্রিও হয়। এই নেশার প্রকোপে একদিকে যেমন বাড়তে থাকে ক্যন্সারের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। তেমনই যত্রতত্র গুটখার পিক পানমশলার থুতুতে দৃশ্যদূষণও হয় যারপরনাই। রাজ্যবাসীর একটা বড় অংশই চায় সরকার ব্যবস্থা নিক এর বিরুদ্ধে। এবার নবান্ন সেই নজিরই গড়ল।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল রেলের গায়ে লেগে থাকা গুটখার দাগ তুলতে প্রতি বছর ১২০০ কোটি টাকা খরচ হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এক ধরনের পিকদানিও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। কলকাতা অন্যান্য জেলাগুলিতে রাস্তার দু'পাশেও এমন হাল দেখা যায়। নবান্নের এই কড়া সিদ্ধান্তে এবার পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারে বলে আশাবাদী এই ধরনের নেশাদ্রব্যের বিরোধীরা।