কোভিড সংক্রমণের সময়েও রাজ্য জুড়ে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীরা। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কাজের ঘাটতি আসেনি। আর গোটা কাজটাই সম্পন্ন হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমের ওপর ভরসা রেখে। এর ফলে কাজে যেমন গতি এসেছে, তেমনই কাজে এসেছে স্বচ্ছতা। ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ হওয়ার জন্য অতি সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত পৌছে গিয়েছে ব্যবস্থা। সেই ব্যবস্থাকেই সম্মান জানিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের মানপত্র এসে পৌছে গিয়েছে রাজ্যের কাছে। সেখানে উল্লেখ আছে গোটা দেশে এই কাজে তৃতীয় স্থান দখল করেছে রাজ্য।
advertisement
এর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত দেশের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে। পঞ্চায়েতের কাজের পুরষ্কার পেয়েছে বীরভূম, বর্ধমান,পুরুলিয়ার মতো জেলা। কেন্দ্রের কাছ থেকে পুরষ্কার পাওয়ায় খুশি রাজ্য। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরেও অবশ্য কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে কাজে লাগানো হবে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের। গ্রামীণ রাস্তা মেরামত, পঞ্চায়েতের হাতে থাকা জামিনদারি বাঁধ নির্মাণ, আবাস তৈরিতে তাদের কাজে লাগানো হবে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধারাবাহিকভাবে মিটিং করা হয়েছে দফতরের আধিকারিকদের সাথে। সমস্ত জেলাওয়ারী রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলাপরিষদ ধরে ধরে মিটিং করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা দিয়েই শুরু হবে মিটিং। আগামী সপ্তাহ থেকেই তিনি নিজে পরিদর্শনে যাবেন সব জেলায়।
- প্রতিবেদন আবীর ঘোষাল
