মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনের বিনিময়ে কোনও মূল্য হয় না। তবে যেসব ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেই পরিবারগুলির জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের অঙ্গীকার করছে রাজ্য সরকার। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী মানুষের উপর যে নির্মমতা চলছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং দুর্ভাগ্যজনক।
প্রত্যেক বিধানসভায় ১১টা করে শুনানি কেন্দ্র, SIR-এ ডাক পেলে কী কী করা হবে? ৩২ লক্ষ ভোটারকে নোটিস
advertisement
স্ত্রীর নামে পোস্টঅফিসে ১ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোসিট করলে ২ বছরে কত টাকা মিলবে?
ওড়িশার সম্বলপুরে বুধবার রাতে এক পরিযায়ী শ্রমিককে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহতের নাম জুয়েল শেখ (৩০)। তিনি মুর্শিদাবাদের একজন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই বিজেপিশাসিত ওড়িশা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বাংলা ভাষায় কথা বলাতেই ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসাবে অভিযুক্ত করে ওই পরিযায়ী শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর মুর্শিদাবাদের একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক আতঙ্কিত হয়ে ওড়িশা ছেড়ে বাড়ি ফিরছেন বলেও জানা গিয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেন, বাংলাভাষায় কথা বলা কোনও অপরাধ হতে পারে না।
নিহত জুয়েল রানার ঘটনায় ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সুতি থানায় জিরো এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি দল ওড়িশায় গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর যে নিগ্রহের ঘটনা সামনে আসছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নিগৃহীত পরিবারগুলির জন্য রাজ্য সরকার সব রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।
