ব্যান্ডেল (BDC) স্টেশনে পরিদর্শনের আওতায় ছিল সার্কুলেটিং এলাকা, প্ল্যাটফর্মের উপরিভাগ, ফুট ওভার ব্রিজ, পে-অ্যান্ড-ইউজ শৌচাগার, এসকেলেটর, ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড (TIB), কোচ ইন্ডিকেশন বোর্ড (CIB) এবং অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (ATVM)। রেলওয়ে অনুমোদিত পার্কিং স্ট্যান্ডগুলি পরিদর্শন করা হয় এবং পানীয় জলের বুথগুলিতে সরবরাহকৃত জলের গুণমান পরীক্ষা করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্টেশনে প্রদত্ত সুবিধা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য যাত্রীদের সাথেও কথা বলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: একে উৎসব, তার উপর পরীক্ষা…রবিবার সকাল ৮টা থেকেই মিলবে ব্লু ও গ্রিন লাইনে মেট্রো
পূর্ব রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (PCCM) ডঃ উদয় শঙ্কর ঝা-এর তত্ত্বাবধানে এবং শ্রী রাহুল রঞ্জন, সিনিয়র ডিসিএম/হাওড়া, শ্রী হরিনারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, ডিসিএম/হাওড়া ও নিবেদিতপ্রাণ বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে হাওড়া ডিভিশনের শেওড়াফুলি এবং ব্যান্ডেল স্টেশনে একটি নিবিড় টিকিট পরীক্ষা ও পরিদর্শন অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল যাত্রীদের মধ্যে শৃঙ্খলা উন্নত করা, টিকিটবিহীন ভ্রমণ রোধ করা এবং স্টেশনের সামগ্রিক পরিষেবা বৃদ্ধি করা।
এই অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অননুমোদিত টিকিটবিহীন ভ্রমণ এবং বুকিংবিহীন মালপত্রের অনিয়ম প্রতিরোধ করা, যাত্রীদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও স্টেশনের আয় বৃদ্ধি করা এবং ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের টিকিট পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করা। স্টেশনের চত্বরে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা এবং যাত্রী সুবিধার মসৃণ কার্যকারিতা বজায় রাখার উপরও জোর দেওয়া হয়েছিল।
এই অভিযানে উভয় স্টেশনে মোট ৫২ জন বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল, যাদের সহায়তা করেন কমার্শিয়াল পরিদর্শকরা। তাঁরা অভিযানের মসৃণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সামগ্রিক সমন্বয়, রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সময়মতো প্রতিবেদন নিশ্চিত করেন।
পদ্ধতিগত পরীক্ষা এবং যাত্রীদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রেলের অভিযানে ৮২৫টি ঘটনা শনাক্ত করা হয়, যার মধ্যে ৪৭৯টি জরিমানার ঘটনা, ২৮০টি বুকিংবিহীন মালপত্রের ঘটনা এবং ৬৬টি আবর্জনা ফেলার ঘটনা অন্তর্ভুক্ত। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যার ফলে রেলওয়ের রাজস্ব হিসাবে ২,০২,২৯০ টাকা আদায় হয়। এই অভিযানটি কেবল আয় বৃদ্ধিতেই অবদান রাখেনি, বরং যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রেলওয়ের নিয়মকানুন মেনে চলার ক্ষেত্রেও সহায়ক হয়েছে।
